আমদাবাদ: আন্তর্জাতিক রুটে কি একটি বিমানকেই বার বার ওড়ানো হচ্ছে? কম টাকায় টিকিট দেওয়ার জন্য কি অদেখা থেকে যাচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি? খামতি থেকে যাচ্ছে মেনটেন্যান্সে? প্রশ্ন তুলেছেন ড্রিমলাইনারে সফর করা যাত্রীরাই। আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাক কারণ নিয়ে যখন চলছে কাটাছেঁড়া, তখন ভাইরাল হয়েছে তেমনই কিছু ভিডিও।
বিমান তখন ৬২৫ ফুট উপরে। হঠাৎ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ATC-র সঙ্গে। তারপরই দ্রুত গতিতে নীচের দিকে নামতে থাকে বিমান।কিছু বুঝে ওঠার আগে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুনের গোলায় পরিণত হয় সেটি। আমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানটি আমেরিকার বোয়িং সংস্থার তৈরি ‘সেভেন এইট সেভেন ড্যাস এইট ড্রিমলাইনার’ সিরিজের। আর এই বিমানে বিপর্যয়ের দিনেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও।
যেখানে এক বিমানযাত্রী দাবি করছেন, ২ ঘণ্টা আগে তিনি ওই বিমানেই ছিলেন। এই বিমানেই দিল্লি থেকে আমদাবাদে আসেন তিনি। বিমানযাত্রীর কথায়, 'আমরা যেন একটা ট্যাক্সিতে রয়েছি। এসি কাজ করছে না। টিভি স্ক্রিন কাজ করছে না। কেবিন ক্রুকে ডাকার বাটনও কাজ করছে না। এমনকী লাইটটা পর্যন্ত কাজ করছে না। তাহলে আপনারা কী পরিষেবা দিচ্ছেন?'
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে, এই বিমানযাত্রী দাবি করছেন, এই বিমানটিই দিল্লি থেকে আমদাবাদ আসার পর, ফের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়। অতীতে এই সেভেন এইট সেভেন ড্য়াশ এইট ড্রিমলাইনার বিমানে চড়া যাত্রীদের অভিযোগ, তখনও অভাব ছিল রক্ষণাবক্ষণের।
বিমানযাত্রী অনুরাগ হালদারের কথায়, 'বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার বলে যেটাকে, আমি সেই বিমানে করেই দিল্লি থেকে মেলবোর্ন এসেছিলাম। খুবই মেনটেনেন্সের অভাব ছিল এই এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের থেকে। এবং বারবার এই এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের উপর বিভিন্ন রকম প্রশ্ন উঠেছে তাদের মেনটেনেন্স নিয়ে, তাদের নামে বিভিন্ন রকমের নোটিস ইস্যু করেছে DGCA'।
কম টাকায় উড়ান পরিষেবা দিতে গিয়ে কি যান্ত্রিক ত্রুটিও থেকে যাচ্ছে নজরদারির বাইরে উঠছে এই প্রশ্নও। বিমানযাত্রীর কথায়, 'দিল্লি থেকে মেলবোর্ন বা দিল্লি থেকে লন্ডন বা আমেদাবাদ থেকে লন্ডন- হয়তো একটাই ফ্লাইট ট্রাভেল করে সারা দিনে। তাহলে কি এখানে ব্যবসার কোনও অ্যাঙ্গেল রয়েছে? এবং সব সময় দেখা যায় যে এই পার্টিকুলার এয়ারলাইন্সের বেশিরভাগ সময় সব থেকে কম এয়ার ফেয়ার থাকে। সেখানে কি কম টাকায় ফ্লাইট টিকিট দেওয়ার জন্য যান্ত্রিক ত্রুটি রেখে দেওয়া হচ্ছে? মেনটেনেন্স করা হচ্ছে না?'
জানা গিয়েছে, অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দরের অদূরে ভেঙে পড়া বিমানটি প্রায় ১২ বছরের পুরনো।