ব্যাগটা এখানেই রাখুন...এখানেই থাকবে...নইলে বিমান ক্র্যাশ করিয়ে দেব। পাইলট ও কেবিন ক্রু-দের ভয়ঙ্কর হুমকি দিলেন এক চিকিৎসক। তাঁর 'অভব্যতার' জন্যই ফ্লাইট ছাড়তে বহুক্ষণ দেরি হয়ে যায়।  মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে সুরাত যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়া একটি বিমান। সেই বিমানের এক চিকিৎসক-যাত্রী বিমানসেবিকা ও পাইলটের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তার জেরে ২ ঘণ্টা দেরিতে ওড়ে বিমানটি। 

কী ঘটেছিল

সূত্রের খবর, মাঝ তিরিশের ওই চিকিৎসক বিমানে উঠে তাঁর মালপত্র রেখে দেন বিমানের প্রথম সারিতে। পুলিশের সূত্রে খবর, ওই যাত্রী একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকর। তিনি দুটি ব্যাগ নিয়ে বিমানে ওঠেন। একটি ব্যাগ ক্রু কেবিনের কাছে রাখেন। অন্যটি তার সিট ২০F-এ নিয়ে যান।  বিমান সেবিকারা তাঁকে ব্যাগটি নিজের কমপার্টমেন্টে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু চিকিৎসকও একরোখা, উনি ব্যাগ ওখানেই রাখবেন। বাগবিতণ্ডা এমন একটা জায়গায় পৌঁছায় যে এগিয়ে আসেন পাইলটও। তিনিও একই অনুরোধ করেন। কিন্তু সে-সব কানে না-তুলেই ওই যাত্রী বলেন, আমি ব্যাগ এখানেই রাখব, নইলে প্লেন ক্র্যাশ করিয়ে দেব। তিনি রীতিমতো দুব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ। এত চেঁচামেচিতে আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বিমানে। যাত্রীরাও ঘাবড়ে যান। বিমান ছাড়তে বিলম্ব হতে থাকে। সমস্যা বুঝে কয়েকজন যাত্রীও এগিয়ে আসেন। ওই চিকিৎসক-যাত্রীকে অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তাদের উপরও চিৎকার করতে শুরু করেন। তখন তিনি হুমকি দেন, যদি ক্রুরা তার মালপত্র সরিয়ে দেয়, তবে তিনি বিমানটিকে ক্র্যাশ করিয়ে দেবেন ! এরপর এয়ারপোর্টের পুলিশের সাহায্য চান বিমানকর্মীরা। তখন  ব্যাস হিরাল মোহনভাই নামের ওই ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।   আমদাবাদে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছে যাত্রীদের। এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত ও বিরক্ত যাত্রীরা। 

বৃহস্পতিবারই ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানের রানওয়েতেই চাকা ফেটে যায়। টেক অফের সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। রানওয়েতেই বিমান থামিয়ে আনা হয় পার্কিং বে-তে। যাত্রীদের অভিযোগ, বলা হয় বিমানের টায়ার বদলানো হয়েছে, ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেই আটকে ছিল বিমান। দেড় ঘণ্টা পরে জানানো হয় বিমান বাতিল। উড়ানের আগে বিমানের টায়ার ফেটে বিপত্তি, জানায় ইন্ডিগো। আমদাবাদ বিপর্যয়ের পর থেকেই একের পর এক বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে। তারই মধ্যে এই ঘটনা।