নয়াদিল্লি: দূষণে ভয়াবহ অবস্থা রাজধানীর (Air Pollution)। CPCB-র তথ্য অনুযায়ী পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর ছিল দিল্লি ! মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একাধিক এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।


এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কোথায় কেমন ?


মূলত রবিবার থেকেই গোটা রাজধানীতে বাজি পুড়িয়ে দীপাবলি উদযাপন করা হয়। আর যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একের অপরের বিরুদ্ধে দোষারপ করেছে আম আদমী পার্টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) অনুযায়ী তথ্য বলছে, সোমবার ছিল ৩৫৮ ।  মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় ৪০০ এর ঘর পার করে।  AQI গিয়ে দাঁড়ায়, ৪২২তে। CPCB এর তথ্য অনুযায়ী, নয়ডা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে, ৪০৬-এ।তবে শুধু রাজধানী এলাকাতেই নয়, দ্বারকাতেও বায়ু দূষণ এবার উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার টক্সিক আবহাওয়ার মধ্য়েই সূর্যোদয় হয়েছে হরিয়ানার গুরুগ্রামেও। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে, ৪৩০এ।


চোখের সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার তৈরি করছে


স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরের মতো যাতে এবছরও বিপদজ্জনক স্মৃতি আর না ফেরে, সেজন্য আগাম খেয়াল রাখছে দিল্লি প্রশাসন।তবে ইতিমধ্যেই দূষণ ক্ষতি করা শুরু করেছে বলেই দাবি নাগরিকদের। চোখের সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার তৈরি করছে বলে অভিযোগ।ধোঁয়াশায় ঢেকেছে তাজমহলও। এদিন ঘুরতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা নিলেন পর্যটকরা। প্রায় অনেকেই মাস্ক পরে বেরিয়েছেন। 


রাজধানীর বাতাসে মিশেছে বিষবাস্প, পাথর ভাঙা ও খনিজ কাজ বন্ধের নির্দেশ


রাজধানীর বাতাসে মিশেছে বিষবাস্প। দূষণে ঢেকেছে রাজধানীর রাস্তা।দিল্লির বাতাসের গুণগত মান উদ্বেগ বাড়িয়েছে।স্কুলগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। মাস্ক পরে প্রায় রোজদিনই প্রাতঃভ্রমণে বেরোচ্ছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। দিল্লির আবহাওয়ার গুণগত মান ক্রমশ নিম্নমুখী। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে দিল্লি এনসিআর-এ ইতিমধ্যেই পাথর ভাঙা ও খনিজ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, শিশু দিবসে সন্তানকে দিন সেরা উপহার, যে ছবিগুলি না দেখলেই নয়


দূষণ রুখতে অতি জরুরী পণ্য ছাড়া ট্রাক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা


পাশাপাশি রাজধানীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে  অতি জরুরী পণ্য ছাড়া ট্রাক নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ নির্দিষ্ট কিছু গাড়ির নির্গত ধোঁয়া থেকেও অতিমাত্রায় দূষণ ছড়াচ্ছে। সেই জন্যই যানবাহনের উপর নজর রেখেছে প্রশাসন।অপরদিকে, দূষণ থেকে মুক্তি পেতে রাজধানী এলাকায় আবর্জনা নিয়ন্ত্রণ এবং বায়োমাসের উপরে ইতিমধ্যেই নজরদারি চালানো শুরু হয়েছে।