নয়া দিল্লি : গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের পতন হয়েছে। ক্ষমতার অলিন্দে তালিবানরা। এই পরিস্থিতিতে আজ আফগানিস্তান নিয়ে এনএসএ-পর্যায়ে বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ভারত। কনফারেন্সে নেতৃত্ব দেবেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। 


বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে- রাশিয়া, ইরান, চিন, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানকে। যদিও চিন ও পাকিস্তান আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা বৈঠকে যোগ দেবে না। আফগানিস্তান থেকে কোনও প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী- তাজিকিস্তানই নয়, এই প্রথম তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলিও এই ধরনের আলোচনায় যোগ দিচ্ছে। মোট সাতটি দেশ বৈঠকে যোগ দিতে চলেছে। তালিকায় রয়েছে-ইরান, কাজাখাস্তান, কিরগিজ রিপাবলিক, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান।


প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে এটি তৃতীয় বৈঠক হতে চলেছে। এই ফর্ম্যাটে আগের দুটি বৈঠক হয়েছিল ইরানে- ২০১৮-র সেপ্টেম্বর ও ২০১৯-এর ডিসেম্বরে। 


উল্লেখ্য, আমেরিকা ও তাদের ন্য়াটো সঙ্গীদের সেনা প্রত্যাহারের পর আফিগানিস্তানে গত অগাস্ট মাসে ক্ষমতার দখল নেয় আলিবানরা। যার পর থেকে সেদেশে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই তালিবান সরকারকে প্রথাগত স্বীকৃতি দেয়নি। এদিকে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে আফগানিস্তান। এর পাশাপাশি আইএসের হুমকির বিষয়টিও রয়েছে। গত কয়েক মাসে এই জঙ্গি সংগঠনের তরফে আফগানিস্তানে হামলা চলছে নাগাড়ে। 


এদিকে তালিবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর ভারত সরকার ক্রমাগত বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করে যাচ্ছে, কাবুলে যা তৈরি হয়েছে তার স্বীকৃতি দিয়ে কেউ যেন মরিয়া না হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার কাছে ভারতের তরফে আর্জি জানানো হয়েছে, যাতে আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার না করা হয় তা নিশ্চিত করতে। মূলত পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা ও জইশ ই মহম্মদের কথা বলা হয়েছে এক্ষেত্রে।