নয়াদিল্লি: সাতপাকে না ঘুরলে হিন্দুমতের বিয়ে বৈধ নয় বলে এবার মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, 'সপ্তপদী' এবং অন্য আচার-অনুষ্ঠান ছাড়া হিন্দু বিয়েকে বৈধ বলা যায় না। আইনি মতে বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই স্ত্রী দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতেই এমন মন্তব্য করলেন বিচারপতি সঞ্জয়কুমার সিংহ। (Allahabad High Court)
এ প্রসঙ্গে ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেন বিচারপতি, যাতে বলা রয়েছে, আচার-অনুষ্ঠান মেনে, অনুষ্ঠান করে হিন্দু বিবাহ সম্পন্ন হতে পারে। সেই আচার-অনুষ্ঠানে 'সপ্তপদী' অর্থাৎ অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাতপাকে ঘোরার উল্লেখ রয়েছে, যাতে বিয়ে সম্পূর্ণ এবং সারাজীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সঙ্গে বাঁধা পড়লেন বলে ধরা হয়। (Hindu Marriage Act)
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, "বিয়ের সঙ্গে গাম্ভীর্যপূর্ণ শব্দটি জড়িয়ে রয়েছে। আচার-অনুষ্ঠান করে বিয়ে উদযাপন করা হয়। সঠিক রীতি-নীতি মেনে বিয়ে না হলে, বিষয়টির গুরুত্ব থাকে না। সেক্ষেত্রে বিয়েটি মোটেই বৈধ নয়, অন্তত আইন তা-ই বলছে। আইনের চোখে ওই সম্পর্ক বিয়ে বলে গৃহীত হয় না। হিন্দু বিবাহ আইনে বৈধ বিবাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল সপ্তপদী। কিন্তু এই মামলায় সেটিই নেই।"
আরও পড়ুন: Share Market: এই পাঁচটি স্টক আজ দিতে পারে লাভ, বৃহস্পতিতে কোন পথে বাজার ?
আদালত জানায়, নিম্ন আদালতে অভিযোগকারী 'সপ্তপদী'র কোনও উল্লেখই করেননি। আদালতে তাঁর দেওয়া বয়ানেও নেই উল্লেখ। তাই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অভিযুক্ত অপরাধ করেছেন বলে ধরে নেওয়া যায় না। তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী সাতপাকে ঘোরা ছাড়া হিন্দু বিয়ে বৈধ বলেই গৃহীত হয় না বলে জানিয়ে দেয় আদালত।
অভিযোগকারী সত্যম সিংহের দাবি, ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় স্মৃতি সিংহের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ঝগড়া-অশান্তি লেগেই ছিল। তার জেরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্মৃতি। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারের FIR-ও দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সত্যম এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করে পুলিশ।