নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট সীতারাম ইয়েচুরিকে জম্মু ও কাশ্মীরে দলীয় নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিকে দেখতে যেতে অনুমতি দিল। রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক তারিগামি অসুস্থ। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক এর আগে তাঁকে দেখতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্রীনগর বিমানবন্দরে তাঁকে ও সিপিআই শীর্ষ নেতা ডি রাজাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা শ্রীনগরে ঢোকার অনুমতি না পাওয়ায় সিপিএমের তরফে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের আওতায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। ওই অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন নাগরিকের নিজের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ ইয়েচুরিকে কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দিলেও কোনওরকম রাজনৈতিক কাজকর্মে জড়াতে নিষেধ করেছে, বলেছে, তাঁকে কেবলমাত্র দলীয় নেতার কাছে যেতে অনুমতি দেওয়া হল। এই সফরকে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে না। বেঞ্চ বলেছে, ইয়েচুরি কোনও রাজনৈতিক প্রচার করলে কর্তৃপক্ষ সেটা তাদের গোচরে আনতে পারে।


ইয়েচুরিকে বেঞ্চ আরও বলেছে, কাশ্মীর থেকে ফিরে আদালতকে রিপোর্ট করবেন, তারপরই তিনি সফর নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারবেন। ইয়েচুরি পরে ট্যুইট করেন, সুপ্রিম কোর্ট আমায় শ্রীনগর গিয়ে কমরেড ইউসুফ তারিগামিকে দেখে আসার অনুমতি দিয়ে ফিরে এসে তাদের তাঁর স্বাস্থ্যের হাল জানাতে বলেছে। ওঁকে দেখে ফেরার পর আদালতে রিপোর্ট করার পর বিস্তারিত বিবৃতি দেব।

পাশাপাশি ৩৭০ অনু্চ্ছেদ বাতিল হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে মিডিয়া, সাংবাদিকদের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে যে আবেদন পেশ হয়েছে, সে ব্যাপারেও কেন্দ্র ও জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া চাইল সর্বোচ্চ আদালত। সাতদিনের মধ্যে জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে দুপক্ষকে। সাংবাদিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন কাশ্মীর টাইমস-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিন। সে ব্যাপারেই নোটিস দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, যার বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এস এ নাজির।
ভাসিনের পিটিশনে বলা হয়েছে, মিডিয়ার লোকজন যারা নিজেদের পেশার কাজকর্ম করার অনুকূল পরিবেশ খুঁজে পান, সেজন্য রাজ্যজুড়ে মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা সমেত যাবতীয় যোগাযোগের মাধ্যমগুলি পুনরায় চালুর নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।