শাহজাহানপুর: আবার প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যে নারী নিরাপত্তা। উন্নাওকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশে ফের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, একটি সোশ্যাল সাইটে এই অভিযোগ করে একটি ভিডিও পোস্ট করার পর থেকে ওই ছাত্রী নিখোঁজ!
গত শনিবার শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ল কলেজের এক ছাত্রী সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেন। ভিডিওয় তিনি দাবি করেন, সন্ত সম্প্রদায়ের ওই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধেঅভিযোগের সব প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে।
ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে। এই ঘটনার পর থেকেই মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি পরিবারের। শাহজাহানপুর পুলিশের কাছে অভিযোগকারিণীর বাবা ওই ৭২ বছর বয়সি বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ওই ভিডিওয় অভিযোগকারিণীর দাবি, ওই বিজেপি নেতার তরফে থেকে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।  স্বামী চিন্ময়ানন্দের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তাঁর দাবি, গত ২২ অগাস্ট চিন্ময়ানন্দের কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। ওই মেসেজে তাঁর কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ভিডিও বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই বার্তায় নাকি এও বলা হয়, তাঁর হারাবার কিছু নেই, কিন্তু চিন্ময়ানন্দের খ্যাতি এতে নষ্ট হতে পারে।
প্রসঙ্গত, স্বামী চিন্ময়ানন্দ ৩ বার বিজেপি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। বাজপেয়ীর আমলে তিনি প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। ২০১১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলাও রুজু হয়।
ভুল উদ্দেশ্যে ফের সামনে বেটি বাঁচাও গ্যাং। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পরই নিখোঁজ উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের আইনের ছাত্রী। ট্যুইট মহিলা কংগ্রেসের।
উত্তরপ্রদেশে একদিনও এরকম হয় না, যে বিজেপি সরকার মহিলাদের ভরসা দিয়ে বলতে পারে, আপনারা সুরক্ষিত আছেন এবং আপনাদের সঙ্গে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটলে বিচার পাবেন। প্রতিবাদী তরুণী নিখোঁজ নাকি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে? ছাত্রীর সঙ্গে কী হচ্ছে কেউ জানে না। এসব কতদিন চলবে? ট্যুইট প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর।