নয়া দিল্লি : এবছর অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) যাবেন ভাবছেন ? পয়লা জুলাই থেকে শুরু হতে চলা এই যাত্রায় যদি যেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন বিশেষ এই পরিবর্তনের কথা। এবার আর যাত্রায় গেলে নিয়ে যেতে পারবেন না- কোল্ড ড্রিঙ্কস, মুচমুচে স্ন্যাকস, কড়া করে ভাজা কোনও খাবার বা ফাস্ট ফুড, এছাড়া-জিলাপি ও হালওয়ার মত মিষ্টি, পুরি এবং ছোলা বাটোরা। বাৎসরিক যাত্রার জন্য স্বাস্থ্যকর এই উপদেশাবলী ইস্যু করেছে শ্রী অমরনাথজি মন্দির বোর্ড। কঠিন এই যাত্রাপথে তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্যের যাতে কোনও অবননি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই এই পদক্ষেপ।
যাত্রা পথে যেসব লঙ্গরখানা, ফুড স্টল, দোকান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পড়বে, সেখানে তীর্থযাত্রীদের খাদ্য পরিষেবা দেওয়া বা খাবার বিক্রি করতে গেলে, যেসব খাবার রাখতে হবে তার একটি মেনু তৈরি করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে রাখা যায়, সেদিকে নজর রেখেই এই পদক্ষেপ। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যাত্রাপথে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় যাত্রীদের।
প্রাকৃতিক কারণে ২০২২ সালের অমরনাথ যাত্রায় প্রায় ৪২ জন তীর্যযাত্রী মারা গিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সরকার হেল্থ ,সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়া অক্সিজেন বুথের আয়োজন, যাত্রার বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত বছর থেকে যাত্রীরা কতটা সুস্থ আছেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য RFID ট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। এবছর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপদেশাবলী যাত্রা চলাকালীন যাত্রীরা যাতে সঠিক খাবার খান সেদিকে আরও একটা পদক্ষেপ।
খাবার তালিকা থেকে যেসব খাবার বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- মদ, তামাক, গুটখা, পান মশলা , ধূমপান এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য। বায়ুযুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস নিষেধ করা হয়েছে। তবে, হার্বাল চা, কফি, লো ফ্যাট মিল্ক, ফলের রস, লেবুর স্কোয়াশ এবং ভেজিটেবল স্যুপ পান করা যেতে পারে। ফ্রায়েড রাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, সাধারণ ভাত যে কেউ খেতে পারেন। এর পাশাপাশি খেতে পারেন- চানা, পোহা, উত্থাপম, ইডলির মত হাল্কা খাবার। ক্ষীর, ওট, শুকনো ফল, মধু ও সিদ্ধ মিষ্টির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, ছোলা বাটোরা, পুরি, পিজ্জা, বার্গার, ধোসা ও চাউমিনের মত ভারী খাবার অমরনাথের যাত্রাপথে নিষিদ্ধ। হালওয়া, জিলাপি, গুলাব জামুন, লাড্ডু, বরফি ও রসগোল্লাও নিষেধ করা হয়েছে খাবারের তালিকা থেকে।