নয়াদিল্লি: হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে শেষ লগ্নের প্রাচর চলছে। আর সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন লোকসভার বিরোধী দলমেতা রাহুল গাঁধী। মুষ্টিমেয় পুঁজিপুতির জন্য বিজেপি দেশের সংবিধানের উপর আঘাত হানছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে নিশানা করেও এদিন আক্রমণ শানান রাহুল। ছেলের বিয়েতে যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন মুকেশ, তা দেশের মানুষের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। (Rahul Gandhi)


হরিয়ানার সোনিপতে মঙ্গলবার কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে যোগ দেন রাহুল। সেখান থেকেই একের পর এক ঝাঁঝাল মন্তব্য ছুড়ে দেন তিনি। রাহুল বলেন, "ছেলের বিয়েতে আম্বানিজি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন জানেন তো? ওই টাকা কার? আপনাদের টাকা। নিজের ছেলেমেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে দেখবেন, ব্যাঙ্কে চাকা নেই আপনার। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এমন একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন, যেখানে বাছাই করা ২০-২৫ জন বিয়েতে হাজার হাজার কোটি খরচ করতে পারবেন। অথচ কৃষকদের বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে দেনায় ডুবে যেতে হবে।" ( Rahul Gandhi on Ambani Wedding)


রাহুল প্রশ্ন তোলেন, "এটা যদি সংবিধানের উপর আঘাত না হয়, তাহলে কী? আসল কথা হল, আপনাদের সব টাকা এই ২০-২৫ জনের পকেটে ঢুকছে। বিজেপি-র একটাই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষের টাকা কয়েক জন পুঁজিপতিকে দিয়ে দেওয়া। মহাভারতের চক্রব্যূহের মতো একটা চক্রব্যূহ গড়ে তোলা হয়েছে, যার পিছনে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, আদানি, আম্বানি, ডোভাল এবং মোহন ভাগবত।"



নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে রাহুল জানান, পুঁজিপতিদের সুবিধা করে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য নয়। পুঁজিপতিদের ঋণ যদি মকুব করা হয়, সেক্ষেত্রে কৃষক, শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষের ঋণও মাফ করে দেওয়ার পক্ষে তাঁরা। যেভাবে আম্বানি, আদানিদের অ্যাকাউন্টে 'খটাখট, খটাখট' টাকা ঢুকছে, একই ভাবে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা উচিত। 


আগামী ৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলঘোষণা ৮ অক্টোবর। তার আগে কৃষি এবং সেনার চাকরি-নির্ভর এদিন 'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ শানান রাহুল। পেনশন, ক্যান্টিনের এধিকার এবং শহিদের তকমা কেড়ে নিতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। হরিয়ানায় এবার তৃতীয় দফায় ক্ষমতাদখলের জন্য মুখিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১০ বছর পর সেখানে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া কংগ্রেসও।