শাহের উদ্দেশে রাউতের পাল্টা প্রশ্ন, এমনকী উদ্ধব ঠাকরেও বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনা থেকে। তখন কেন বিজেপি বিরোধিতা করেনি। রাউত আরও বলেন, মোদীকে আমরা সবচেয়ে বেশি সম্মান করি। তখন ওনার মন্তব্য খন্ডন করলে সেটা তাঁর অমর্যাদা করা হোত। মনে হয়, শাহ মোদীকে কী নিয়ে বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল, সে ব্যাপারে অবহিত করেননি।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনার মধ্যে নির্বাচনের ফল প্রকাশ পরবর্তী অধ্যায়ে বিরোধ মাথাচাড়া দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পদ ও অন্যান্য ক্ষমতা বন্টনের প্রশ্নে। শিবসেনার দাবি, বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে দুদলের মধ্যে স্থির হওয়া বোঝাপড়া মতো ৫০-৫০ সূত্র মেনে ক্ষমতা ভাগ ও আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করে নেওয়া মানতে হবে। পাল্টা বিজেপি জানায়, এমন কোনও বোঝাপড়াই হয়নি, তাই মানার প্রশ্নই নেই।
বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠনে এগতে না পেরে শিবসেনা কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে পিছনের দরজা দিয়ে আলোচনা চালায়। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন, কংগ্রেস ও এনসিপি যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪টি। রাজ্যে প্রবল রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই সম্ভাব্য বোঝাপড়ার জন্য শরদ পওয়ারের এনসিপির শর্ত মেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকেও একমাত্র প্রতিনিধি অরবিন্দ সাওন্তকে তুলে নেয় শিবসেনা। সাওন্তের ইস্তফায় শিবসেনা-বিজেপি সম্পর্কে ফাটল আরও চওড়া হয়।
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বি এস কোশিয়ারি প্রথমে বিজেপি, শিবসেনাকে সরকার গড়ার দাবি জানানোর আমন্ত্রণ জানান। পরে ডাকেন এনসিপিকেও। কিন্তু কোনও পক্ষই প্রয়োজনীয় সংখ্যার অভাবে সরকার গঠনের দৌড়ে নামতে পারেনি। মঙ্গলবারই রাজ্যপালের সুপারিশ মেনে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কেন্দ্র।
আজ শাহের নাম না করে রাউত আরও বলেন, কিছু লোক প্রধানমন্ত্রী মোদী ও উদ্ধব ঠাকরের মধ্যে বিরোধ তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে! আবেগের বশে এও বলেন, মাতোশ্রীর যে ঘরে বিজেপি, শিবসেনা সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কথা হয়েছিল, সেটি শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের, কার্যত সেটি তাঁদের দলের কাছে মন্দিরের সমান।