জয়ন্ত রায়, নিমতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সরগরম শহর। তারমধ্যেই এবার আধারকার্ড জাল করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে নিমতায়। জানা গিয়েছে, এক ছাত্রীর আধারকার্ড জাল করে ভ্যাকসিন নেওয়ার তোড়জোড় করেছেন এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। ঠিক কী হয়েছিল? নিমতার বাসিন্দা স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া প্রিয়াঙ্কা দে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ভ্যাকসিনের জন্য অনলাইনে স্লট বুক করতে যান তিনি। তখনই দেখেন অন্য এক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই তাঁর আধার কার্ড ব্যবহার করে ভ্যাকসিনের স্লট বুক করে নিয়েছেন।


এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে লালবাজার সাইবার সেলে যোগাযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখান থেকে তাঁকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেই মতো এ দিন সন্ধেতে নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা দে। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। 


অন্যদিকে আধার লিঙ্ক নিয়ে হয়রানির শিকার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত স্লট অনুযায়ী বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন অনেকেই। অভিযোগ সময় মতো পৌঁছলেও সারাদিনই সেখানে টিকাকরণ হয়নি। এদিন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে আধার লিঙ্ক না থাকার কারণেই ভ্যাকসিন পাননি কেউ। 


সমস্যার মুখে পড়েন দূর থেকে টিকা নিতে আসা গ্রাহকরা। যদিও সূত্রের খবর, আধারের বদলে ভোটার কার্ড থাকলেও মিলতে পারত ভ্যাকসিন। কিন্তু আগে থেকে সঠিক খবর না থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। অনেকেই এদিন ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যান। যদিও হয়রানির কথা স্বীকার করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি তাঁরা।


করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে ভ্যাকসিনেশনেই জোর দিচ্ছে সরকার। আর সেই ভ্যাকসিন নিয়েই তোলপাড় রাজ্য। কোথাও ভ্যাকসিনের আকাল, কোথায় আবার ভ্যাকসিন নিয়ে জালিয়াতি। সবমিলিয়ে মহামারি আবহে চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে কারণে আজ বুধবার কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


অন্যদিকে দেবাঞ্জনের কীর্তির পর বাড়তি সতর্কতাও নেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন ক্যাম্পের ক্ষেত্রে। স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের তালিকায় নথিভূক্ত নয় এমন সব ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পই বেআইনি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। দ্রুত ভ্যাকসিন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। 


(তথ্য সাহায্য- মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর)