কলকাতা: দেড় হাজারেরও নিচে নেমে এল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৭৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে সবমিলিয়ি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪,৯৯,৭৮৩ জন। জুন মাসের শেষের হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২০,৫৩১ জন। গতকালের তুলনায় যা ৫৩১ জন কম।
পাশাপাশি এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন। এই সংখ্যাটাও গত কালের তুলনায় কমেছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৭,৭০৮ জন। বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১,৯৮০ জন। এ নিয়ে হাসপাতাল থেকে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৪,৬১,৪৯০ জন। রাজ্যে ৩০ জুন সুস্থতার হার ৯৭.৪৫ শতাংশ।
অন্যদিকে সংক্রমণের নিরিখে চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং। যদিও উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী দার্জিলিং-এ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫০ জন। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় এই সময়ে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা যথাক্রনমে ৯৬ এবং ২২।
রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউ সামলে নোয়া গেলেও তৃতীয় ঢেউ রুখতে তৎপর রাজ্য। ইতিমধ্যেই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। পুর এলাকার অন্তর্গত বিভিন্ন থানার অধীনে থাকা বাজার-দোকানগুলিকে সপ্তাহে একদিন করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামিকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নির্দেশ কার্যকরী করা হবে। রাজ্যের মন্ত্রী এবং হাওড়া পুরসভা প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায় জানিয়েছেন প্রত্যেক থানাকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ রুখতে ভ্যাকসিনের ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছেয যদিও রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবের ফলে এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নিয়ে মোট ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৪৭ জন দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবন নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসবে তার ৫০% বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে।
এ নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতার পুর কমিশনার ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, রাজ্যে কোভিশিল্ডের মোট দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের। অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৬২।