নাগপুর: করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই নাগপুরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল সরকারি হাসপাতাল থেকে চারজনের উধাও হওয়ার ঘটনায়। নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে, সন্দেহে তাঁদের সেখানে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়েই তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে যান শুক্রবার গভীর রাতে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, খোঁজখবর করে তাঁদের ধরে এনে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও বেরয়নি।
জনৈক পুলিশ অফিসার বলেছেন, দুই মহিলা সমেত ওই চারজন শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাস সন্দেহে পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা দিতে ইন্দিরা গাঁধী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন। তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। কিন্তু মাঝরাতে কর্তৃপক্ষকে কিছু না বলেই তাঁরা চলে যান। পরে তাঁদের খোঁজ পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁদের হাসপাতালে ফিরে আসতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা পুলিশকে জানায়, ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায়, তাছাড়া হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাস সংক্রামিত রোগীদের সঙ্গে একই শৌচাগার শেয়ার করতে হয়েছে বলে বিরক্ত হয়েই তাঁরা চলে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, নাগপুরে এপর্যন্ত তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম সংক্রমণের খবর মেলে গত বুধবার। গত ৬ মার্চ আমেরিকা ফেরত এক তথ্য ও প্রযুক্তিকর্মী মেয়ো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
মহারাষ্ট্র সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা হিসাব মুম্বই, ঠাণে, নবি মুম্বই, পুণে, পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় ও নাগপুরে শুক্রবার মাঝরাত থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সব সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, জিম, সুইমিং পুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধ বা বন্ধ করার জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করতে প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা দিতে ১৮৯৭ সালের মহামারী রোধ আইনের ধারা কার্যকর করছে মহারাষ্ট্র সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বেশিরভাগ ঘটনা এসেছে পুণে থেকে। তাই সেখানে ও পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ে সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।