ফার্মা কোম্পানি থেকে অবসর নিয়েছেন আর রাজহংস নামে ৬১ বছরের ওই ব্যক্তি। তাঁকে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৫ উপহার দেন তাঁর ছেলে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিদ্ধার্থ। মার্চে শরীর তেমন ঠিক না লাগায় অ্যাপল ওয়াচে ইসিজি মাপেন তিনি। সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, মাঝরাতে হঠাৎ বুকে অস্বস্তি হওয়ায় তাঁর বাবা অ্যাপল ওয়াচে হার্টবিট মাপেন। দেখেন, হার্টবিট ঠিক আসছে না। হাইপারটেনশন থাকলেও তাঁর হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু অ্যাপল ওয়াচে বারবার হার্টবিটের সমস্যা ধরা পড়ায় তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। দেখা যায়, তাঁর হৃদযন্ত্রে গুরুতর জটিলতা দেখা গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করতে হবে।
করোনার জন্য ঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার করা যায়নি। কিন্তু রাজহংস তাঁর হার্টবিট অ্যাপল ওয়াচে নিয়মিত মেপে গিয়েছেন।
সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মাইট্রাল ভালভ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি হয়েছে, তাঁর অ্যাপল ওয়াচে ধরা পড়ে সমস্যার কথা। অপারেশনের পর সিদ্ধার্থ চিঠি লিখে ঘটনার কথা জানান অ্যাপল সিইও টিম কুককে। জবাবে কুক লিখেছেন, সিদ্ধার্থ, ঘটনাটি জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনার বাবা ঠিক সময়ে চিকিৎসকের সাহায্য পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল, আশা করি, এখন তিনি ভাল আছেন। আমাদের টিম আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
পরে রাজহংস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাপল।
ইসিজি সহ নানা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিষেবা দিয়ে গোটা বিশ্বে বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে অ্যাপল ওয়াচ। ২০১৮-য় আরতি যোগলেকর নামে পুণের এক বাসিন্দার ছেলে টিম কুককে চিঠি লিখে বলেন, অ্যাপল ওয়াচ তাঁর মাকে মনে করিয়ে দেয় গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার কথা, এভাবে তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়ে মিনিটে ১৩৬ হয়েছে। জবাবে কুক লেখেন, আপনার মা ভাল আছেন জেনে ভাল লাগল। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।