চেন্নাই: করফাঁকি দিতে ব্যক্তিগত আয়ের একটা অংশ নিজের নামাঙ্কিত ফাউন্ডেশনে ট্রান্সফার করেছিলেন। এই অভিযোগে জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল আয়কর দফতর।


বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৫ সালে। রহমানের বিরুদ্ধে টাকা বেআইনিভাবে নিজের ফাউন্ডেশনে ট্রান্সফার করার অভিযোগ তুলেছিলেন চেন্নাইয়ের আয়কর দফতরের প্রিন্সিপাল কমিশনার। আয়কর দফতরের দাবি, প্রায় ৩.৫ কোটি টাকার হেরফের করার অভিযোগ উঠেছিল অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালকের বিরুদ্ধে।


রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ব্রিটেনের একটি মোবাইল সংস্থার হয়ে রিংটোন তৈরি করে দেওয়ার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ তিনি নিজের নামাঙ্কিত রহমান ফাউন্ডেশনের পাঠিয়েছিলেন। অথচ, ওই সংগঠনের ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন লাইসেন্স (এফসিআরএ) ছিল না।


আয়কর দফতরের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই অর্থ করযোগ্য, কারণ, প্রথমত ওই সংস্থার কোনও বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি ছিল না। দ্বিতীয়ত, অনুদান নয়, ওই অর্থ জমা পড়েছিলপারিশ্রমিক বাবদ।


আয়কর দফতরের অভিযোগের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছিলেন রহমান। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপিল আদালত রহমানের পক্ষে রায় দেয়। আদালত জানায়, এই অনুদানের পক্ষে সম্মতি ছিল কেন্দ্রের। ফলত, এই অর্থ যে কর-যোগ্য তা প্রমাণ করার কোনও নথি নেই আয়কর দফতরের হাতে।


এবার, আপিল কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে গেল আয়কর দফতর। এই প্রেক্ষিতে, শুক্রবার রহমানকে নোটিস পাঠিয়েছে হাইকোর্ট।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ২০০৯ সালে নিজের নামে এই এনজিও খোলে রহমান ও তাঁর পরিবার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এফসিআরএ লাইসেন্স পেয়েছে রহমান ফাউন্ডেশন।