গতকাল মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে আলাদা করে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তেজনা কমাতে মূলত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচটি পয়েন্টের ওপর। এই মুহূর্তে দু’দেশের কাজ হল, যে সব এলাকা নিয়ে অশান্তি, সে সব থেকে সেনা সরানো, যাতে ভবিষ্যতে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটতে পারে। দুই সেনা তাদের স্থায়ী পোস্টে কবে কীভাবে সরে যাবে তা সেনা আধিকারিকরা আলোচনা করে ঠিক করবেন।
চিনা বিদেশমন্ত্রীর ইচ্ছে ছিল, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা চলুক। কিন্তু অধিকৃত আকসাই চিনে পিএলএ-র যে বিশাল সেনা সমাবেশ তা নিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর কোনও সন্তোষজনক জবাব তিনি দিতে পারেননি। এই মুহূর্তে আকসাই চিনে পিপলস লিবারেশন আর্মি ৫০ হাজারের বেশি সেনা সমাবেশ করেছে, এনেছে ১৫০টি যুদ্ধ বিমান, ট্যাঙ্ক এবং ক্ষেপণাস্ত্র। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, ছিয়াত্তরে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে ভারত-চিন সম্পর্ক মোটামুটি সদর্থক পথে এগিয়েছে। কিছু কিছু ঘটনা কখনও কখনও ঘটেছে ঠিকই কিন্তু সীমান্তে মূলত শান্তি ও সৌহার্দ্যই বজায় থেকেছে। কিন্তু পূর্ব লাদাখের সাম্প্রতিক ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে। তাই দু’দেশের স্বার্থে এই সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। ভারত পরিষ্কার করে দেয়, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গেলে সীমান্ত এলাকার যাবতীয় চুক্তি চিনকে মানতে হবে, একতরফা স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা কোনওমতেই চলবে না। ভারত যাবতীয় চুক্তি ও প্রটোকল মেনে চলছে বলেও জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর।