Pak Army Shelling: সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের লাগাতার গোলা বর্ষণে শহিদ হলেন ভারতীয় সেনার ল্য়ান্স নায়েক দীনেশ কুমার। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার পর থেকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলা বর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয় পাক বাহিনী। তাতে একাধিক নিরীহ নাগরিকের মৃত্য়ু হয়। পাল্টা ভারতীয় সেনার জবাবে ১০ জন পাক জওয়ানের মৃত্য়ু হয়। এরই মধ্য়ে পাকিস্তানের শেলিংয়ে মৃত্য়ু হয় ল্য়ান্স নায়েক দীনেশ কুমারের। সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কোরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। নিহত দীনেশ কুমার হরিয়ানার বাসিন্দা। ৫ এফডি রেজিমেন্টে পোস্টিং ছিল তাঁর। পুঞ্চ সেক্টরে নিহত হয়েছেন তিনি। 

'অপারেশন সিঁদুর'- এর পর থেকেই অশান্ত রয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তরফে গোলাবারুদ বর্ষণ এবং অবাধে গুলিবৃষ্টির কারণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে চারজন শিশুও রয়েছে বলে খবর। এছাড়াও রয়েছেন সেনাবাহিনীর এই জওয়ান। অন্তত ৫৭ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যেসব গ্রাম রয়েছে, সেগুলিকেই নিশানা করে গুলি চালানো হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। এছাড়াও গোলাবারুদ, বোমা বর্ষণও হয়েছে। 

পহেলগাঁও হামলার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় বদলা নিল ভারত। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর মাধ্য়মে, ভারতীয়দের সিঁদুর মোছার প্রতিশোধ নিল ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল লস্কর-জইশ-হিজবুলের হেড কোয়ার্টার-সহ নটা জঙ্গিঘাঁটি। পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম বড় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অপারেশন সিঁদুরে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে লস্করের ঘাঁটি মারকাজ তৈবা তছনছ করে দিল ভারত। উড়িয়ে দেওয়া হল ওসামা বিন লাদেনের আর্থিক সাহায্যে গড়ে ওঠা লস্করের বিরাট ক্যাম্প। মধ্যরাতে অতর্কিতে প্রত্যাঘাত করে, হাফিজ সইদের জঙ্গি সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিল ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। 

লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটির মতো, অপারেশন সিঁদুরে একই হাল হল জইশের ঘাঁটিরও। তবে শুধু ঘাঁটি নয়, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের গোটা হেডকোয়ার্টারই উড়িয়ে দিল ভারত। বাহওয়ালপুরে জইশের মূল ডেরায় চলল অপারেশন সিঁদুর। আর তাতে, মৃত্যু হল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সহযোগী ও পরিবারের সদস্য় সহ ১৪ জনের। কিন্তু তাতে আফশোস বা হতাশা, কোনওটাই নেই বলে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। 

লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের পাশাপাশি মঙ্গলবার গভীর রাতে কাশ্মীরের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের ডেরাতেও হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের মূল ভূ-খণ্ডের প্রায় ১৮ কিলোমিটার ভিতরে শিয়ালকোটে হিজবুলের অন্যতম প্রধান ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এই ক্যাম্প থেকেই ২০১৬ সালে পাঠানকোটে এয়ারবেসে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। উপত্যকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই ক্যাম্প, দাবি করেছে সেনা।