জেনেভা: বিশ্বের একেক দেশে একেক সময় অবলুপ্ত হয়েছে দাসপ্রথা। মার্কিন কংগ্রেসে যেমন ১৮৬৫ সালে, ১৩ তম সংশোধনের মাধ্যমে দাসত্বের অবসান ঘটানো হয়েছিল। আখেরে কি বিশ্বে দাসত্বের অবসান হয়েছে? রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে প্রায় তিন কোটির কাছাকাছি মহিলা ও অল্পবয়সিরা আজও দাসপ্রথার শিকার। শুধু ধরন বদলেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া দাসত্ব ও পারিবারিক দাসত্ব।


বহু দেশে অল্পবয়সি মেয়েরা বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টকে আই ওপেনার বলা যেতে পারে। এই জনসংখ্যাটা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। বিশ্বে প্রতি ১৩০ মহিলা/মেয়ের মধ্যে একজনকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, পারিবারিক দাসত্বের শিকার হতে হয়।

ওয়াক ফ্রি অ্যান্টি স্লেভারি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেস ফরেস্ট বলেছেন, ‘‘মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্য সময়ের চেয়ে আজ অনেক বেশি মানুষ দাসত্ব করেন।”

আধুনিক দাসত্বের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফরেস্ট জানিয়েছেন,  ব্যক্তিগত ভাবে  বা আর্থিক ভাবে  সংগঠিত উপায়ে একজন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া  হচ্ছে আজকের দাসত্ব।

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এবং ওয়াক ফ্রি সংস্থার  করা যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

রিপোর্ট অনুযায়ী ৯৯ শতাংশ মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার , ৮৪ শতাংশ মহিলাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ৫৮ শতাংশকে বাধ্যতামূলক ভাবে শ্রমিকের কাজ করানো হয়। করোনা-কালে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বা বলা যেতে পারে কোভিড ১৯ বিশ্বব্যাপী আধুনিক দাসত্বের এই শৃঙ্খলকে আরও জোরাল করেছে।

বিশ্বের এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে দুনিয়া জোড়া একটি প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছে, ওয়াক ফ্রি, রাষ্ট্রপুঞ্জের এভ্রি উওম্যান এভ্রি চাইল্ড প্রোগ্রাম।