ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের ইসলামাবাদের মার্ঘাজার চিড়িয়াখানা থেকে রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছে ৫১৩টি জীবজন্তু। পাকিস্তানের সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। চিড়িয়াখানাটির যাবতীয় দায়িত্ব আগে সামলাত ইসলামাবাদ মেট্রোপলিটান কর্পোরেশন (আইএসমি)। গত মে মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে চিড়িয়াখানার দায়িত্ব যায় ইসলামাবাদ ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের( আইডব্লুএমবি) হাতে। আগে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশু-পাখির যে তালিকা দিয়েছিলেন তাতে মোট ৯১৭টি বিভিন্ন প্রজাতির পশু ও পাখি চিড়িয়াখানায় ছিল।  


১৬ জুলাই চিড়িয়াখানার চার্জ হস্তান্তর ঘটে। তাতে স্বাক্ষর করেন চিড়িয়াখানার ডেপুটি ডিরেক্টর বিলাল খিলজি, ক্লাইমেট চেঞ্জ বায়োডাইভার্সিটি মন্ত্রকের ডিরেক্টর নঈম আসরফ রাজা ও আইডব্লুএমবি-র ডিরেক্টর আনিসুর রেহমান। নতুন কর্তৃপক্ষ হিসেব মিলিয়ে দেখিয়েছেন যে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৪০৪টি পশু-পাখি। হিসেবে মিলছে না এখানেই। ৯১৭ কেমন করে কমে ৪০৪ হয়ে গেল! ইসলামাবাদের এই একমাত্র চিড়িয়াখানা জীবজন্তুর ওপর নির্যাতনের জন্য অবশ্য আগে থেকেই কুখ্যাত।


দেখা যাচ্ছে আগের তালিকায় ২৫৫টি বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ছিল। নতুন তালিকায় তারা বিলকুল নেই। নীলগাই ১৮ থেকে কমে হয়েছে ১৬টি। ইউরিয়াল ১১ থেকে কমে মাত্র ৪টি হয়েছে। জেব্রা কমেছে একটি। চিঙ্কারা কমে ৭ থেকে হয়েছে ৩। আবার বার্কিং ডিয়ার, হগ ডিয়ার কেমন করে বেড়ে গিয়েছে একটি দুটি করে। মালার্ড হাঁস ১০৮ থেকে কমে হয়েছে ৭৪। রোজ রিংগড প্যারাকিট ১৩৬ থেকে কমে হয়েছে মাত্র ৩০। উধাও হওয়া পশু-পাখিগুলি এই লকডাউনের মাঝে হারিয়েছে বা চুরি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।