গুয়াহাটি : করোনা পরীক্ষায় আপত্তি থাকায় স্টেশন থেকেই চম্পট দিলেন প্রায় ৫০০ যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের জাগিরোড রেল স্টেশনে। খবর পেতেই সংক্রমণের আশঙ্কায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।


রাজ্যে সংক্রমণ এড়াতে রেল স্টেশনে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে অসম সরকার। ভিন রাজ্যের কেউ অসমে এলেই দিতে হবে করোনা পরীক্ষা। যদিও এই পরীক্ষা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে ভিন রাজ্য থেকে আসা একাংশ যাত্রীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রায় ৫০০ যাত্রী জাগিরোড স্টেশনে নামেন। পরে টেস্টের কথা জানতেই স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর বল প্রয়োগ করে তাঁরা পালিয়ে যান। যার জেরে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।


পুলিশ আধিকারকরা জানিয়েছেন, পলাতকদের মধ্যে বহু মহিলা ও শিশু রয়েছে। এরা বেশিরভাগই দক্ষিণ ভারতের পরিযায়ী শ্রমিক। কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় বিবেক এক্সপ্রেসে অসমে নামেন তাঁরা। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা করে এই ট্রেন। গত পাঁচদিন ধরে কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অসমে ঢোকেন শ্রমিকরা।


তবে এই প্রথমবার নয়। সম্প্রতি অসমের বুকে আরও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অসমের শিলচর বিমানবন্দরে প্রায় ৬০০ যাত্রী এই করোনা পরীক্ষা না দিয়েই চলে যান। একাধিক বিমানে অসমে নেমেছিলেন তাঁরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বিমানযাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার জন্য পাশেরই এক হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষা না দিয়েই পালিয়ে যান তাঁরা।


রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল নিয়েছে অসম সরকার। সেই অনুযায়ী বাইরে থেকে আসা ট্রেন বা বিমানযাত্রীদের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও নয়া নিয়ম অনুসারে যাত্রীকে ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যদিও সরকারি আধিকারিক, ভিন রাজ্য থেকে আসা স্বাস্থ্যকর্মী ও উত্তর-পূর্বের নাগরিক ও প্রিয়জনের মৃত্যুতে আসা ব্যক্তিদের এই নিয়ম থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।