গত নভেম্বরের গোড়ায় স্বামীর আইনজীবী শরিফ শেখ আবেদন করেন, গ্রেফতারির সময় যে স্ট্র, চপ্পল তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলির ব্যবস্থা করতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এনআইএ) নির্দেশ দেওয়া হোক। যদিও বৃহস্পতিবার এনআইএ-র বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি প্রকাশ শেট্টি আদালতকে জানান, স্বামীর কোনও জিনিসপত্রই তাঁদের কাছে নেই। তারপরই অভিযুক্ত স্বামীর আইনজীবীরা জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁকে অর্থের বিনিময়ে ওইসব জিনিসপত্রের বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দিতে বলে আবেদন পেশ করেন। তাঁরা বলেন, স্বামী পার্কিনসন রোগে ভুগছেন, প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য স্ট্র, স্লিপার চাই তাঁর। নতুন আবেদন পেয়ে আদালত এবার ডিসেম্বরে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে জেল কর্তৃপক্ষকে।
ঝাড়খন্ডের আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে জড়িত বলে সবাই চেনে স্বামীকে। ১৯৯৬ সালে ইউরেনিয়াম কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিরুদ্ধে ঝাড়খন্ড অর্গানাইজেশন এগেইনস্ট ইউরেনিয়াম রেডিয়েশন নাম দিয়ে যে প্রচার আন্দোলন হয়, তাতে সামিল ছিলেন তিনি। বোকারো, সাঁওতাল পরগণা, কোডারমার উচ্ছেদ হওয়া লোকজনের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার সংগ্রামে কাজ করছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতার হওয়ার আগে এক বিবৃতিতে স্বামী বলেছিলেন, আমার বিরুদ্ধে যে এনআইএ তদন্ত চলছে, তার চরিত্রের সঙ্গে ভিমা-কোরেগাঁও মামলার কোনও সম্পর্কই নেই। ওই মামলায় আমায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপর দুবার অভিযানও চালানো হয়েছে। কিন্তু এটা পরিষ্কার, কোনওভাবে আমার সঙ্গে উগ্র বামপন্থীদের যোগসাজশ দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।