তার তীনয়াদিল্লি: নয়  নয় করে একমাস হতে চলল জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই অবস্থাতেই ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সঙ্গে সংঘাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ডায়বিটিসের রোগী কেজরিওয়াল নিজের ব্য়ক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই আর্জির বিরোধিতা করতে গিয়ে ED-র অভিযোগ, মিষ্টি, আম খেয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করছেন কেজরিওয়াল, যাতে স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে জামিন পান। (Arvind Kejriwal Arrested)


আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ED. এই মুহূর্তে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন কেজরিওয়াল। সেখানে স্ত্রী-ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করতে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে Aam Aadmi Party. কেজরিওয়ালের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীর মতো আচরণ করা হচ্ছে বলেও দাবি করে তারা। সেই আবহেই নতুন করে ED-র সঙ্গে সংঘাতে কেজরিওয়ালে। (Arvind Kejriwal Health)


টাইপ ২ ডায়বিটিসের রোগী কেজরিওয়াল। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলতে চেয়ে সম্প্রতি আবেদন জানান তিনি। জেলের মধ্যে যদিও ওষুধপত্র সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন কেজরিওয়াল, কিন্তু তাঁর রক্তের শর্করার মাত্রা ওঠাপড়া করছে, অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে AAP.


আরও পড়ুন: Raj Kundra: চিটফান্ড মালিকের সঙ্গে Bitcoin লেনদেন, রাজ ও শিল্পার ১০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED


দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে কেজরিওয়ালের ওই আবেদন নিয়ে শুনানি শুরু হলে, তার তীব্র বিরোধিতা করে ED. তাদের আইনজীবী বলেন, "জেনেশুনেই চিনি দেওয়া চা পান করছেন কেজরিওয়াল, কলা খাচ্ছেন, আম খাচ্ছেন, মিষ্টি খাচ্ছেন, আলুর তরকারি-লুচি খাচ্ছেন, যা টাইপ ২ ডায়বিটিস রোগীদের মুখে তোলাই উচিত নয়। এগুলো খেলে যে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে, তা বিলক্ষণ জানেন উনি। আসলে চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইছেন উনি, যাতে আদালতের সমবেদনা কুড়োতে পারেন।"


আদালতে তদন্তকারীদের আইনজীবী আরও জানান, জেলে ২৪ ঘণ্টার চিকিৎসক রয়েছেন। দিনে দু'বার করে কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা মেপে দেখা হচ্ছে। কেজরিওয়ালের মেডিক্য়াল রিপোর্টও আদালতে তুলে ধরেন তিনি। জানান, ১ এপ্রিল তিহাড়ে ঢোকার সময় কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা ছিল ১৩৯ mg/dl, ১৪ এপ্রিল সকালে তা ২৭৬ mg/dl ছিল।


ED-র এই মন্তব্যে আপত্তি তোলেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী। তিনি জানান, সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম তৈরি করা যায়, ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন উক্তি করছেন ED-র আইনজীবী। সুগারের রোগী জেলে এসব পাচ্ছেনই বা কোথা থেকে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। জেলে কেজরিওয়াল কী খাচ্ছেন এবং তাঁর চিকিৎসক কী ডায়েট মেনে চলতে বলেছেন, তার রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। শুক্রবার ফের শুনানি রয়েছে এ নিয়ে।