নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি আদালতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal Arrest) সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। আপাতত জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীকে। আদালত জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং সমীকরণ আদালতে টেনে আনা যাবে না। আইনের কাছে এসব অপ্রাসঙ্গিক। বিচারপতিরা আইনের কাছে দায়বদ্ধ, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কাছে নয়। (Delhi Liquor Policy Case)
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ED-র হাতে গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জমা দেন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, বেআইনি ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কেজরিওয়াল।
কিন্তু মঙ্গলবার শুনানি শুরু হলে, কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে। আদালত জানায়, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে ED. আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যব্ত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে। কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করলেও, কেজরিওয়ালের হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধি করতে চেয়ে এদিন আবেদন জানায়নি ED. বরং কেজরিওয়াল তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি তাদের।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বরণকান্ত শর্মার সিঙ্গল বেঞ্চে কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালত জানায়, ED আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা করেছে, তাতে এক হাওয়ালা ডিলারের বয়ানও রয়েছে। পাশাপাশি, গোয়ায় আম আদমি পার্টির এক প্রার্থীর বয়ানও জমা পড়েছে আদালতে। আবেদবনকারীর মামলায় যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য নামগুলি খোলসা করা হয়নি।