নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখের গালোয়ানের সীমান্ত বিরোধ, সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর মধ্যেই চিনের পাশে চাল নিয়ে ভারত। গত তিন দশকে এই প্রথম প্রতিবেশী দেশকে চাল সরবরাহ করে সাহায্যের হাত বাড়াল ভারত। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় শিল্প মহল। চিন ইতিমধ্যেই ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, চিনকে যেসব দেশ সাধারণতঃ চাল পাঠায়ক, তাদের ভাণ্ডারে রপ্তানি করার মতো যথেষ্ট উদ্বৃত্ত চাল নেই। ঘাটতি চলছে। তারা রপ্তানি কমিয়েছে। তাছাড়া, ভারত চাল দিচ্ছেও কম দামে। এই কারণেই ভারতের দিকে ঝুঁকেছে শি জিনপিংয়ের দেশ।
প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারী দেশ। বেজিং বছরে প্রায় ৪০ কোটি টন চাল আমদানি করে, যদিও এতদিন খারাপ গুণমানের কারণ দেখিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি এড়িয়ে এসেছে তারা। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তারা বাধ্য হয়েই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা সত্ত্বেও ভারতমুখী হয়েছে। চাল রপ্তানিকারক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বি ভি কৃষ্ণ রাও বলেছেন, এবারই প্রথম চাল কিনেছে চিন। ভারতীয় চালের গুণমান খতিয়ে দেখার পর সামনের বছর আমদানির পরিমাণ বাড়াতে পারে তারা।
শিল্পমহল সূত্রের খবর, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা টন পিছু ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ৩০০ মার্কিন ডলার দরে ১ লক্ষ টন ভাঙা চাল রপ্তানির চুক্তি করেছেন।
চিনকে সাধারণতঃ চাল সরবরাহ করে তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো দেশগুলি। কিন্তু এখন এই দেশগুলির ভাণ্ডারে চিনকে পাঠানোর মতো যথেষ্ট চাল নেই, তাছাড়া ভারতের চেয়ে টন পিছু অন্তত ৩০ মার্কিন ডলার বেশি দর দিচ্ছে তারা। সেজন্যই চিন ভারত থেকে চাল আমদানিই শ্রেয় মনে করছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর প্রায় ৭২ দিন ডোকালামে মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারত, চিন,দুদেশের সেনাবাহিনী। বিরোধ নিরসনে শেষ পর্যন্ত কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং।