নয়াদিল্লি: আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ডোবানো যাবে না বলে সুর বেঁধে দিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা। কিন্তু প্রথম যাত্রায় বেরিয়েই জলের নিচে ঠাঁই হয় টাইটানিক জাহাজের (Titanic Shipwreck)। প্রাণ যায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের। এত বছর পরও সেই ঘটনা শিহরণ জাগায় মনে। সেই ঘটনা নিয়ে পূর্ণ্যদৈর্ঘ্যের ছবি থেকে তথ্যচিত্র, বাদ যায়নি কিছুই (Titanic Movie)। এ বার জলের নিচে টাইটানিকের অদেখা কিছু ছবি সামনে এল, যা তোলা হয় প্রায় চার দশক আগে (Titanic Rare Footage)। 


হলিউড তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট অভিনীত 'টাইটানিক' ছবির বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে উপমহাদেশে। ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তিতে চার দশক আগে জলের নিচে তোলা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ছবি নতুন করে সামনে এনেছে উডস হোল ওশিয়ানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন (WHOI)। ১৯৮৬ সালে জলের নিচে টাইটানিকের উদ্দেশে যে অভিযান চালানো হয়, তার ৮০ মিনিটের একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে তারা। তাতেই ফের চর্চায় টাইটানিক।



WHOI জানিয়েছে, ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল মর্মান্তিক পরিণতি হয় টাইটানিকের।  তার প্রায় ৭৫ বছর পর, ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জলের নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের হদিশ পান  রবার্ট ব্যালার্ড এবং তাঁর সহযোগী গবেষকরা। ১৯৮৬ সালের জুন মাসে ওই ধ্বংসাবশেষের কাছে ফিরে যান তাঁরা। মনুষ্যনিয়ন্ত্রিত এবং রিমোট দ্বারা চালিত অ্যালভিন যান নামানো হয় জলে। সেই প্রথম টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের উপর নজর পড়ে মানবজাতির। 


সেই অভিযানের দুষ্প্রাপ্য ভিডিও-ই সামনে এনেছে WHOI. জলে নিমজ্জিত টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের বহির্ভাগ এবং অন্দরের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয় ওই অভিযানে। প্রধান আধিকারিকের কেবিনের ভিতরকার ছবিও তোলা হয়। জাহাজের মেঝে, অন্দরসজ্জার খুঁটিনাটির নমুনা সংগ্রহ করেন গবেষকরা। ১৯৮৬ সালে টাউটানিকের ধ্বংসাবশেষের উদ্দেশে মোট ১১টি অভিযান হয় বলে জানা গিয়েছে। 



টাইটানিকের পরিণতি অবলম্বনেই পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছায়াছবি তৈরি করেন হলিউড পরিচালক জেমস ক্যামেরন। তিনিও ওই অভিযানের উপর আগাগোড়া নজর রেখেছিলেন। দুষ্প্রাপ্য ছবি এবং ভিডিও প্রকাশে আপ্লুত ক্য়ামেরন। তাঁর মতে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম টাইটানিক সম্পর্কে অমোঘ আকর্ষণ বোধ করেছেন। দুষ্প্রাপ্য এবং ছবি ও ভিডিও সকলের কৌতূহল মেটাবে বলে আশাবাদী তিনি। 


টাইটানিক যখন তৈরি করা হয়, সেটি বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ বলে বিবেচিত হয়েছিল। আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, সেটিকে ডোবানো সম্ভব হবে না বলে দাবি করেছিল নির্মাণকারী সংস্থা। কিন্তু ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকার নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রথম যাত্রাতেই ডুবে যায় টাইটানিক। হিমশৈলর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় জাহাজটি। মাত্র ৭০০ যাত্রী বেঁচে ফিরেছিলেন। আটল্য়ান্টিকের প্রায় ১২ হাজার ৬০০ ফুট নিচে সেটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে।