গুয়াহাটি : বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার। শনিবার অসমের কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে একটি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।


দুপুরের দিকে ওই পুরুষ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে একটি টহলদারি দল। বিডিয়া ও নারামোরা অ্যান্টি পোচিং ক্যাম্পের যৌথ টহলদারি দল পার্কের কাথোনি এরিয়ায় টহল দিচ্ছিল। সেই সময় মৃতদেহটি দেখতে পাওয়া যায়। সেটি উদ্ধার করা হয়।


কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঘটির ৪ বছর বয়স হয়েছিল। অন্য বাঘেদের সঙ্গে লড়াইয়ের জেরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


জাতীয় ব্রাঘ্য সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের গাইড লাইন মেনে মৃতদেহটির সৎকার হয়েছে। পার্কের অধিকর্তা পি শিবকুমার জানিয়েছেন, কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে এই মুহূর্তে ১২১টি বাঘ রয়েছে।


কাজিরাঙায় বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার এই প্রথম নয়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে কাজিরাঙা রেঞ্জে একটি চার মাসের বাঘের(স্ত্রী) মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাজেঙ্গ অ্যান্টি-পোচিং ক্যাম্পের কর্মীরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। এক্ষেত্রেও বাঘের মৃত্যুর কারণ প্রাণীদের নিজেদের মধ্যে লড়াই বলে জানিয়েছিলেন কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কের অধিকর্তা।


এছাড়াও তিনি জানান, সিনিয়র আধিকারিক, ভেটেরিনারিয়ান এনজিও, জাতীয় ব্রাঘ্য সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি এবং কর্মীরা ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। সাধারণ পর্যবেক্ষণ এবং ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, ঘাড়ে একাধিক দাগ এবং পাঁজর ভাঙা রয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্ত ও নমুনা সংগ্রহের পর মৃতদেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।


তার আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘ এবং একটি বন্য শুয়োরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কের কোহরা রেঞ্জে। সেবার প্রাথমিক তদন্তের পর পার্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, মনে হচ্ছে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের জেরে ওই বাঘ ও শুয়োরের মৃত্যু হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, কাজিরাঙা জাতীয় অভয়ারণ্য অসমের গোলাঘাট, করবি অ্যাঙ্গলঙ্গ এবং নাগাও জেলায় বিস্তৃত। এই অভয়ারণ্যে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ একশৃঙ্গী গণ্ডার রয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটও।