কলকাতা: বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল।

  এবার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দলকে আরও সংযত হওয়ার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রক্ষায় কোনওমতেই আপস করা হবে না কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। 


ভোটের ফলপ্রকাশের একমাস পর, শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মেগা বৈঠক হয় তৃণমূল ভবনে।  ওয়ার্কিং কমিটির পর, কোর কমিটির বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী।


তৃণমূল সূত্রে খবর, ভার্চুয়াল মাধ্যমে হওয়া এই বৈঠকে মমতা বার্তা দেন, দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে হবে। কয়লা-গরু বা বালি পাচারের মতো বিষয়ে যাতে কারও নাম না জড়ায় সেবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দলের নামে কোথাও তোলাবাজি চলবে না। দল দলের মতো চলবে আর প্রশাসন প্রশাসনের মতো চলবে। প্রশাসনিক কাজে কোনও নেতার হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।


এদিন দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হল-- দলের সর্বভারতীয় স্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বৃদ্ধি। লের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক। সেক্ষেত্রে, তিনি আর যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি থাকছেন না। অভিষেকের জায়গায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ।


শ্রমিক-কৃষক-মহিলা সংগঠনের একাধিক পদে রদবদল করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী হচ্ছেন দোলা সেন।


সর্বভারতীয় মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী হচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হতে চলেছেন পূর্ণেন্দু বসু। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হলেন কুণাল ঘোষ। 


পাশাপাশি, বঙ্গ জননী বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালা রায়কে। তৃণমূলের কালচারাল সেলের প্রধান হচ্ছেন রাজ চক্রবর্তী। 


বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর হয়েছে। বাংলার বাইরেও সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবে তৃণমূল। বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করবেন সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় নেতৃত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে দল।’


এছাড়া, ৮টি জেলার রাজ্য সভাপতির রদবদল ঘটেছে বলে সূত্রের খবর।