গুয়াহাটি: কোনও আষাঢ়ে গল্প নয়, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। অসমে ১৪ বছরের এক বালক খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মাদি হাতিকে। পুলিশের খাতায় অভিযুক্ত সেই স্তন্যপায়ীর নাম দুলুমণি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের নাহারজান এলাকার বিজুলি চা বাগানে। সেখানেই বালকের ওপর হামলে পড়ে ওই মাদি হাতি। যার জেরে প্রাণ হারায় ১৪ বছরের ও কিশোর। ঘটনার পরই হাতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ আসতে থাকে বন বিভাগের ওপর। শেষে অভিযুক্ত হাতির সঙ্গে তার শাবককেও আটক করে পুলিশ।
সূ্ত্রের খবর, প্রাক্তন বোকাহাটের বিধায়ক জিতেন গগৈ ওই হাতির মালিক। গত ২২ বছর ধরে হাতি পোষেন তিনি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হাতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ অপরাধমূলক হত্যার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শেকল দিয়ে বেধে ওই হাতিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মায়ের সঙ্গে আনা হয়েছে শাবক হাতিকেও। পরে অবশ্য বন দফতরের হাতে মাদি হাতি ও তার শাবককে তুলে দিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, শাবক হাতিকে জড়িয়ে ধরতে গিয়েই যাবতীয় বিপত্তি ঘটে ও বালকের। মাদি হাতির হামলার মুখে পড়তে হয় তাকে। তবে এই প্রথমবার নয়। এই নিয়ে স্থানীয় মানুষদের ওপর তিনবার হামলা চালাল ওই হাতি। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার করা হলেও হাতির বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না বন দফতর। কেবল হাতি ও তার বাচ্চাকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে হবে তাদের।
২০১৩ সালে এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকে কেরল। পেরমবাভুরের এক মন্দিরের উৎসবে তিন মহিলাকে মেরে ফেলে পুরুষ হাতি। সেই কাণ্ডে কেরল বন বিভাগও সেই হাতিটিকে গ্রেফতার করে। পরে সেই হাতি পেতে মালিককে ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হয়। বন বিভাগের মতে, অনেক সময় শাবকদের ওপর মানুষের হাত বরদাস্ত করতে পারে না পূর্ণবয়স্ক হাতিরা। বাচ্চার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই মানুষের ওপর হামলা চালায় তারা। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর মুখে পড়তে পারেন আক্রান্ত।