বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: নিরুদ্দেশ হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এরকম সব পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে খড়গপুরের তালবাগিচায়। সমর্থন জানাল তৃণমূল। নিরুদ্দেশ নই। বিধানসভায় যেতে হচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে দাবি হিরণের।


বিধায়ক নিরুদ্দেশ, খুঁজে দিলে পুরস্কৃত করা হবে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের তালবাগিচায় আনাচে আকাচে দেখা গেল এরকমই সব পোস্টার। কোনও পোস্টারে আবার বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কার্টুনও আঁকা রয়েছে। 


বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা হিরণ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একসময়ের কেন্দ্র খড়গপুর সদরে হিরণকে টিকিট দেয় বিজেপি। প্রায় চার হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারান তিনি। 


কিন্তু, এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর আর সেভাবে এলাকায় দেখা যায়নি বিজেপির অভিনেতা বিধায়ককে। এই প্রেক্ষাপটে পোস্টার পড়ল হিরণের নামে।কোথাও বিধায়ককে খুঁজে দিলে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। কোথাও আবার লেখা, বিধায়ককে খুঁজে দিলে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেওয়া হবে। দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির দেওয়াল...বাদ যায়নি লাইটপোস্টও...খড়গপুরের তালবাগিচা জুড়ে এখন শুধুই হিরণের খোঁজে পোস্টার।


খড়্গপুরের তালবাগিচার বাসিন্দা মানবেন্দ্রনাথ ঘোষের অভিযোগ, বিধায়ককে এখানে পাওয়া যায় না। উনি আসেন সিজিন ফ্লাওয়ারের মত। স্নো, পাউডার মেখে এসে দু'চারটে কথা বলে উনি সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এসি গাড়িতে উঠে চলে গেলেন। আমাদের এখানে কনটেইনমেন্ট পরিস্থিতিতে তাঁর খোঁজখবর নেওয়া উচিত ছিল।


আর এক বাসিন্দা অরুণ দাস বলেছেন, এখানে এসে ভোটের আগে উনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। আজ আমাদের এখানে যে করোনা পরিস্থিতি। উনি নিরুদ্দেশ হয়ে আছেন।


কারা এই পোস্টার দিয়েছেন, তার অবশ্য কোনও উল্লেখ নেই এখানে। তবে এই কাজকে সমর্থন জানাচ্ছে তৃণমূল। 


পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি জহর পাল বলেছেন,  মানুষের প্রয়োজনে যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন কেন!  আমাদের এমপি কেও মাঝে মাঝে টিভির পর্দার মধ্যে দেখা যায়। আমার মনে হয় তার বিরুদ্ধে এই ধরনের পোস্টারিং হওয়া উচিত আছে।


যাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার সেই বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যাননি। গত এক সপ্তাহ ধরে বিধানসভায় যাচ্ছেন। বর্তমানে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে যেতে না পারলেও, কার্যত লকডাউনে বিপাকে পড়া মানুষদের জন্য নমো আহার প্রকল্প চালু আছে।