গুয়াহাটি: সতীর্থদের উপর গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন অসম রাইফেলসের জওয়ান। মঙ্গলবার ভোররাতে মণিপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক হিংসা, অশান্তিতে এখনও উত্তপ্ত মণিপুর। সেই আবহেই এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। গুলিবিদ্ধ ছয় জওয়ান হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁরা কেউই মণিপুরের বাসিন্দা নন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে  বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। (Assam Rifles)


মঙ্গলবার ভোররাতে মণিপুরের দক্ষিণে, মায়ানমার সীমান্তের কাছে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে অসম রাইফেলসের ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন ছিল। রাজ্য়ের ওই প্রত্যন্ত এলাকা উগ্রপন্থী অধ্যুষিত এলাকা বলেই পরিচিত। সেখানে মোতায়েন রয়েছে আধা সেনা অসম রাইফেলস। সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে রয়েছে তারা। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই সতীর্থদের উপর গুলি চালান অসম রাইফেলসের ওই জওয়ান। পরে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন তিনি। (Manipur News)


স্থানীয় সূত্রে খবর, ছুটি কাটিয়ে সম্প্রতি চূড়াচাঁদপুরের বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন অভিযুক্ত জওয়ান। ভোররাতে হঠাৎ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তুলে নেন তিনি। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন, তাতে তাঁর সতীর্থ ছয়  জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। তার পর ওই আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। আহত অবস্থায় ওই ছয় জওয়ানকে উদ্ধার করে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।



আরও পড়ুন: Ayodhya Ram Mandir: উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়, বদলে গেল রামলালার দর্শনের সময়


অসম রাইফেলসের জনসংযোগ বিভাগ এবং অসম রাইফেলস (দক্ষিণ)-এর IG-র তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। জানানো হয়, আহতরা কেউই মণিপুরের বাসিন্দা নন। বিবৃতিতে বলা হয়, "মণিপুরে যে অশান্তি চলছে, সেই প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কোনও রকম গুঞ্জন, জল্পনা খারিজ করতেই এই বিবৃতি। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটেছে বটে, তবে তার সঙ্গে মণিপুরের অশান্তির কোনও সংযোগ নেই। আহতরা কেউই মণিপুরের বাসিন্দা নন।"


ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অসম রাইফেলসের ব্যাটেলিয়নে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন রয়েছেন। মণিপুরের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও অসম রাইফেলসের অংশ। সমাজে বিভাজন তৈরি হলেও, সকলে মিলেমিশেও কাজ করেন। মণিপুরের শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য তাঁরা কাজ করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "নিজের আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি ভরে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করেন ওই জওয়ান। কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি, বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"