গুয়াহাটি: মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় 'জনসংখ্যা সেনা' নিয়োগ করবে অসম সরকার। জন্ম নিয়ন্ত্রণে ওইসব এলাকায় সচেতনতার বার্তা দেবে এই সেনা। রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।


সম্প্রতি অসম বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক শর্মন আলি আহমেদের এক প্রশ্নের উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ''অসমের পশ্চিম ও মধ্য ভাগে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০০০ যুবককে নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। যারা রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সচেতনতার বার্তা দেবে। পাশাপাশি এই 'জনসংখ্যা সেনা'ই এলাকায় গর্ভনিরোধক বড়ি বিলি করবে।'' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''আশা কর্মীদের আরও একটা আলাদা বাহিনী তৈরি করবে সরকার। এই ১০,০০০ আশা কর্মী জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেবে বিভিন্ন 
এলাকায়।'' 


কত জনসংখ্যা বেড়েছে অসমে ?


মুখ্যমন্ত্রীর হিসেব বলছে, ২০০১ সালে রাজ্যে হিন্দু পপুলেশন গ্রোথ ছিল ১৬ শতাংশ। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ ২৯ শতাংশ।১৯৯১ সালের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে হিন্দু পপুলেশন গ্রোথ ছিল ১৯ শতাংশ। সেখানে মুসলিমরা ছিল ৩৪ শতাংশ। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুসলিম পপুলেশন গ্রোথ কমতে থাকে। ৩৪ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে এসে দাঁড়ায় তারা। হিন্দুদের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়ায় ১৯ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ।যদিও পরবর্তীকালে দেখা যায়, ২০০১ সালে থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মুসলিম পপুলেশন গ্রোথ ২৯ শতাংশেই থেকে গিয়েছে। সেখানে হিন্দু পপুলেশন ১৬ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে।


সম্প্রতি বিধানসভায় এই তথ্য দিয়েই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দল কংগ্রেস, এআইইউডিএফ-কে রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, ''রাজ্যে জনসংখ্যার বিস্ফোরেণের ফলেই আর্থিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। যার শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা। আমরা কখোনেই মুসলিম বিরোধী নই। তবে আমরা গরিবির বিরুদ্ধে।''  অসমের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, কদিন আগেই 'দুই সন্তান নীতি' বাস্তবায়নের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর , আগামী দিনে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর কথা ভাবছে অসম 
সরকার।