লন্ডন: করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন। রবিবার এই দাবি করেছেন সংস্থার সিইও। ইতিমধ্যে ব্রিটেনে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সংস্থার সিইও প্যাস্কাল সোরিয়টের বক্তব্যে আশার আলো দেখছে বিশ্ববাসী।

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যাস্কাল সোরিয়ট দাবি করেন, ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন নিলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। তাঁর কথায়, আরও দুই ভ্যাকসিনের তুলনায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা আরও বেশি শক্তিশালী। ফাইজারের সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ, মডার্নার সাফল্যের হার ৯৪.৫ শতাংশ।

এ মাসের ২৩ তারিখ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা মেডিসিন এন্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির কাছে যাবতীয় নথি জমা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজকের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।

ব্রিটেনে প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজারকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রিটেনের নিয়ামক সংস্থা টিকাকরণের অনুমোদন দেয়। এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়াল দেখা যায় ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ কার্যকরী। ৯০ শতাংশ নির্ভরশীলতা রয়েছে।

ব্রিটেনে বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে এই ট্রায়াল করা হয়। ব্রাজিলের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে টিকার ৬২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা যায়। সূত্রের খবর, যেসব স্বেচ্ছাসেবীরা প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং এক মাস পরে পুরো ডোজ পেয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। সরিয়ত বলেন, এটা সত্যি অত্যন্ত খুশির একটা খবর।

সোরিয়ট বলেন, আমাদের শুধুমাত্র আশানুরূপ ফল দরকার ছিল। তা আমরা পেরেছি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যায়। শুধু তাই নয়, অন্তত ৬ মাস সংরক্ষণ করা যাবে এই ভ্যাকসিন। এদিকে ফাইজার সংরক্ষণের জন্য -৭০ সেলসিয়াস প্রয়োজন।  ইতিমধ্যে ১০ কোটি ফাইজার ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছে সরকার। ৪০ শতাংশ ভ্যাকসিন মিলবে মার্চের মধ্যেই। দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭০ হাজার জনের। ফলে ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।

এদিকে ব্রিটেনে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন তথা প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে পরিস্থিতি। সিল করে দেওয়া হয়েছে সব সীমান্ত। ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করে দিয়েছে ভারত সহ ৪০টি দেশ।