সূত্রের খবর, চলতি মাসের গোড়ার দিকে সান্তা সেজে বেলজিয়ামের ওই অ্যান্টওয়ার্পের কেয়ার হোমে আসেন এক ব্যক্তি। পরে জানা যায় উনিই সুপারস্প্রেডার। বাড়ি ফেরার পর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু ততক্ষণে ভাইরাস ছড়িয়ে গিয়েছে। দেখা যায় হোমের ৩৬জন কর্মী ও ১২১জন আবাসিক সংক্রমিত হয়েছেন।
ক্রিসমাসের মধ্যে মারা গিয়েছেন পাঁচজন প্রবীণ ব্যক্তি। একজনের অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। যদিও হোমের তরফে জানানো হয়েছিল সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে ক্রিসমাসের আনন্দে মেতেছিলেন আবাসিকেরা। কিন্তু ছবিতে দেখা গিয়েছে উপহার বিলির সময় তা মানা হয়নি। একজন প্রবীণের একেবারে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সান্তার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এইভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য হোম কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। হোমকে দায়িত্বজ্ঞানহীন সংস্থা বলেও আখ্যা দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে সান্তা সেজে আসা ব্যক্তির জন্য এই মাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বেলজিয়ামের এক ভাইরোলজিস্ট। কে ইউ লিউভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্ক ভ্যান জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি সুপারস্প্রেডার হলেও একজনের মাধ্যমে একসঙ্গে এত জনের সংক্রমণ! অর্থাৎ আর কারও মাধ্যমে প্রবীণ ব্যক্তিরা সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন আবাসিকেরা।
গত কয়েকদিন ধরে বেলজিয়ামে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার সংক্রমিত হয়েছেন ২৭৬২জন। রবিবার তা একলাফে সাড়ে চার হাজারের গণ্ডি পার করেছে।