কলকাতা: সামরিক প্রতিষ্ঠানে (Military Establishment) ড্রোন হামলায় রক্তাক্ত সিরিয়া (Syria Drone Attack), নিহতের সংখ্য়া অন্তত ১০০ বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। গত কাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে 'হোমস' (Central Homs City) শহরের সেনা অ্যাকাডেমিতে ড্রোন হামলা চলে। সেই সময় তখন ওই প্রতিষ্ঠানে 'গ্র্যাজুয়েশন' অনুষ্ঠান চলছিল। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন সাধারণ বাসিন্দা, বলে দাবি খবর প্রশাসন সূত্রে। অন্তত ১২৫ জন জখম হয়েছেন। সিরিয়া প্রশাসন শুধু জানায়, জঙ্গি হামলাতেই রক্তাক্ত হয় ওই সেনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ঠিক কোন জঙ্গি সংগঠন ওই হামলা করেছিল, কী ভাবেই বা সামরিক প্রতিষ্ঠানের মতো নিরাপত্তাঘেরা জায়গায় তারা এই হামলা চালাল, সেই ব্যাপারে এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছে সিরিয়া। কোনও সংগঠন এখনও পর্যন্ত হামলার দায়স্বীকার করেনি।
আর কী জানা গেল?
সেনা প্রতিষ্ঠানে 'গ্র্যাজুয়েশন' অনুষ্ঠান তখন সদ্য শেষ হয়েছে। ঠিক তখনই, বিস্ফোরকে ঠাসা ড্রোনগুলি প্রতিষ্ঠান চত্বরে ঢুকে পড়ে। সিরিয়ার সেনার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মদতপুষ্ট জঙ্গিরাই এই কাণ্ডের নেপথ্যে। এদিকে সরকারি ভাবে নিহতের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তাতে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সে দেশের স্বাস্থ্য়মন্ত্রী জানান, ৮০ জন মারা গিয়েছেন, জখম ২৮০। নিহতদের মধ্যে ৬ শিশুও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। হতাহতের বাস্তব পরিসংখ্যান যা-ই হোক না কেন, প্রশাসনের বড় অংশের আশঙ্কা অচিরেই নিহতে সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ বৃহস্পতিবারের ড্রোন হামলায় আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ যে 'হোমস' শহরের বুকে, সামরিক প্রতিষ্ঠানে এমন হামলায় অত্যন্ত বিচলিত সে কথা জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক। একই সঙ্গে উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় যে ভাবে জবাবি হামলা চলেছে, তা নিয়েও রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের উদ্বেগের কথা জানান দুজারিক।
জবাবি হামলা..
সরকার-বিরোধী পক্ষের দখলে থাকা ইদলিব প্রদেশে জবাবি হামলায় অন্তত পাঁচ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি 'ফার্স্ট রেসপন্ডার ' হিসেবে কাজ করে চলা এক সংগঠনের সদস্যদের। ২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে জ্বলছে সিরিয়া। আন্তর্জাতিক মহলের বড় অংশ এ জন্য প্রেসিডেন্ট বাসার-অল-আসাদকেই দায়ী করেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর যে ভাবে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের উপর দমনপীড়ন শুরু করেছিলেন, তার পর থেকে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় সিরিয়া। এখনও পর্যন্ত এই গৃহযুদ্ধে অন্তত ৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কবে থামবে মৃত্যুমিছিল? উত্তর অজানা। যুদ্ধ চলছেই।
আরও পড়ুন:লাইফ সার্টিফিকেট জমা এখন আরও সহজ, 'ফেস অথেন্টিকেশন' করবেন কীভাবে