শ্রীনগর: শনিবার দুপুরে শ্রীনগরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় জখম হলেন অন্তত ৬ জন। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরের অভিজাত লালচক এলাকার মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে হরি সিংহ মার্কেটে আচমকা গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে একটি গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনৈক পুলিশ অফিসার। বিস্ফোরণের সময় বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল, যদিও কয়েকটি অস্থায়ী স্টল বসিয়েছিলেন কিছু দোকানদার।
সোমবারই কাশ্মীরের সর্বত্র পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা ফের চালু করে স্বাভাবিক জনজীবন ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। শনিবার রাজ্য প্রশাসন এ কথা ঘোষণার পরই ঘটল গ্রেনেড আক্রমণ। জখমদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে, হামলাস্থল কর্ডন করে ঘিরে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধানে তল্লাশিও চালাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ।


সরকারের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের ৯৯ শতাংশের ওপর এলাকায় যাতায়াতের ওপর বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ উঠেছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ বেশিরভাগ বিধিনিষেধই প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৮-১০টি থানা বাদে বাকি সর্বত্র যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে এখন। ৯৯ শতাংশের বেশি এলাকায় আসা-যাওয়ার ওপর কোনও বিধিনিষেধই নেই।
সোমবার থেকে ফের চালু হচ্ছে পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা। তার প্রাক্কালেই ঘটে গেল সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে রাজ্যে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনা।
তবে বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর এটাই প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা নয়। ৫ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড ছুঁড়লে বিস্ফোরণ ঘটে প্রায় ১৪ জন জখম হন। জেলা কালেক্টরের দপ্তরের বাইরে ওই হামলা হয়।