হলদিয়া: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। হলদিয়া বন্দরে দড়ি দিয়ে বাঁধা হল জাহাজ। বর্ধমান স্টেশনের ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা রেকের চাকা বাঁধা হল শিকলে। বর্ধমানে ২৬ ও ২৭ তারিখের জন্য বেশীরভাগ মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। উদ্বেগের প্রহর গোণা শুরু হয়ে গিয়েছে। কমছে দূরত্ব। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। 


বিপদ এড়াতে তুঙ্গে প্রস্তুতি। কোথাও জাহাজ বাঁধা দড়ি দিয়ে। কোথাও চেনে বাঁধা হল রেকের চাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া বন্দরে ৮টি জাহাজ দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বন্দরে জাহাজ ঢোকা ও বেরোনো সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে বন্দরে। 


কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। সব ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কাজ বন্ধ রয়েছে। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে, সদর দফতর থেকে মনিটারিং করা হচ্ছে। স্যটেলাইট ইমেজে কোনও নৌকা, জাহাজের ছবি ধরা পড়লে তা সরিয়ে আনা হচ্ছে।


ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কের মধ্যেই সর্তক রেল। বর্ধমান স্টেশনের ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা রেকের চাকা বাঁধা হল শিকলে। টেনে রাখা হয়েছে গার্ড কেবিনে থাকা হ্যাণ্ডব্রেকগুলিও। রেল সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনে ২৬ ও ২৭ তারিখ বিদ্যুত্ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুদিনের জ্বালানিও মজুত করে রাখা হয়েছে। ২৬ ও ২৭ তারিখের জন্য বেশীরভাগ মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে কমেছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যাও। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৬ তারিখ বিকেল ৩.৩০ পর বর্ধমান থেকে কোনও হাওড়াগামী স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে না।


বর্ধমানের চিফ ইয়ার্ড মাস্টার স্বপন অধিকারী জানিয়েছেন, কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। গাছ পড়ে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গেলে এই টিম দ্রুততার সঙ্গে কাজ করবে। যাত্রীদের সাহায্য করতে আরপিএফ ও জিআরপিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের বিষয়টা বলেছে । নদিয়ার শান্তিপুর স্টেশনেও দাঁড়িয়ে থাকা রেকের চাকা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে!