মুম্বই : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই ক্রমশ ভয়ানক আকার নিচ্ছে আর এক অতিমারি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এবার সেই মিউকোরমাইকোসিসের সঙ্গে লড়তে ১৫ লক্ষ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশন জোগাড় করছে মহারাষ্ট্র সরকার। নিজেদের রাজ্যেই ৮ লক্ষ ইঞ্জেকশন তৈরি ও বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার থেকে আরও ৭ লক্ষ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশন আনানোর কাজ মহারাষ্ট্র সরকার শুরু করেছে বলেই জানিয়েছেন সেখান কেমিক্যাল ও ফার্টলাইজার প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।


মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মনসুখ মান্ডব্য বলেছেন, 'জুন মাসেই ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশন জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্র নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। প্রাথমিকভাবে ৭ লক্ষ ইঞ্জেকশন আমদানির কাজ শুরু হয়েছে, সঙ্গে আরও ৮ লক্ষ ইঞ্জেকশন রাজ্যে বানিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে দ্রুতই।' সোমবারই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়তে নিজেদের রাজ্যেই অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশন তৈরির সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার সেই অ্যান্টি ফাঙ্গাল ইঞ্জেকশন দিয়েই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে মহারাষ্ট্রও।


এমনিতেই ব্ল্যাক, হোয়াইটের পর দেশের ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ চিন্তা বাড়িয়েছে সবমহলে। তবে যেভাবে গোটা দেশেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা যে সকল রাজ্যকেই চিন্তায় রাখছে তা পরিষ্কার। মহারাষ্ট্রের কেমিক্যাল ও ফার্টলাইজার প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর কথায়, 'মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর হঠাৎ করেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে গিয়েছে। মাত্র ১৫ দিনে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধু যারা বানায় তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংস্থাকে ওষুধ তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।'


মিউকর নামক ছত্রাক থেকে এই রোগ ছড়ায় বলেই রোগটির নাম মিউকোরমাইকোসিস। সাধারণত কোভিড আক্রান্ত, ডায়াবেটিক, ক্যানসার আক্রান্ত, স্টেরয়ডের নিতে হচ্ছে যাদের এমন ব্যক্তিদেরই এই সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। রোগটি সংক্রামক না হলেও ক্রমশ একাধিক করোনা রোগীরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে সেই জায়গায় অবশ্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কিছুটা আতঙ্কেই রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে যাকে অতিমারি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।