LIVE UPDATE: জেএনইউ-তে আক্রান্ত ঐশী ঘোষ, 'গণতন্ত্রের লজ্জা' ট্যুইট মমতার, দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রিয়ঙ্কা

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখে রুমাল বেঁধে পড়ুয়াদের ওপর হামলা।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 06 Jan 2020 12:27 AM
জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল যাদবপুর। পোস্টার নিয়ে মিছিল, দেওয়াল লিখে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের।
জেএনইউ-তে হিংসার খবর শুনে আমি স্তম্ভিত। ছাত্রদের নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। পুলিশের উচিত অবিলম্বে হিংসা থামিয়ে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়ুয়ারা নিরাপদ না হলে দেশ এগোবে কী করে? ট্যুইট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।
মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা জেএনইউতে ঢুকল, আর আইনরক্ষকরা দাঁড়িয়ে দেখল। এই ভিডিও দেখিয়ে দিচ্ছে, বিজেপি-আরএসএস দেশকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চায়। তাদের সফল হতে দেওয়া যাবে না। হিন্দুত্বের এজেন্ডা রুখে দিয়েছে জেএনইউ। তাতে ভয় পেয়েই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। ট্যুইট সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির।
জেএনইউ-এ আক্রান্ত পড়ুয়ারা। মাথা ফাটল ঐশী ঘোষের। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। জেএনইউ-য়ে গেলেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাও।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। শাহিনবাগ, JNU-এর পাশে দাঁড়াতে, দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে (সাজদা আহমেদ, মানস ভুঁইয়া এবং বিবেক গুপ্ত) তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দিল্লি যাচ্ছে। ট্যুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
জেএনইউ-তে ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আমি এই জেএনইউ-কে চিনি বিতর্ক এবং নানা ধরনের মতামতের জন্য, হিংসার জন্য নয়। রবিবার জেএনইউ-তে যে ঘটনা ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ করতে চায় সরকার। ট্যুইট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ বেঁধে তাণ্ডব। রড-লাঠি-ব্যাট-উইকেট নিয়ে গার্লস হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব। মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হল JNU-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের মাথা। গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। পড়ুয়াদের দাবি, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। সেই সময় ABVP-র লোকজন বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। তাণ্ডব চালানো হয় গার্লস হস্টেলেও। মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় ঐশী ঘোষের মাথা। জখম আরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। পড়ুয়াদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন সুচরিতা সেন নামে এক অধ্যাপিকাও। অভিযোগ অস্বীকার করে ABVP-র পাল্টা দাবি, তাদের উপরই প্রথমে হামলা চালানো হয়। জেএনইউ-তে হামলার ঘটনায় দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি আম আদমি পার্টির
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের ওপর নৃশংস হামলা হয়েছে! মুখ ঢাকা গুণ্ডাবাহিনীর আক্রমণে অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় স্তম্ভিত! সাহসী ছাত্রসমাজের গর্জনে ফ্যাসিবাদীরা ভীত। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা, সেই ভয়েরই প্রতিফলন। ট্যুইট কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখে রুমাল বেঁধে পড়ুয়াদের ওপর হামলা। আক্রান্ত জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। মহিলা হস্টেলে হামলার ঘটনায় এসএফআইয়ের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করাতেই এবিভিপি-র গুণ্ডারা এই জঘন্য কাজ করেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঐশী ঘোষকে দিল্লি এইএমস-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।








এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, “মুখ বাঁধা অবস্থায় দুষ্কৃতীরা এসে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আহত ঐশী ঘোষকে এইএমস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। একাধিক পড়ুয়া আক্রান্ত, তাঁদের চিকিৎসার জন্য এইএমস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসা হচ্ছে।”








উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই জেএনইউ-তে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ সামিল হয়েছিল এসএফআই সহ আরও একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা। এসআফআই-এর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম শিথিল করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হলেও তারা তা করেনি। বরং ফি বৃদ্ধির পথেই হেঁটেছে জেএনইউ। আর তার প্রতিবাদ করাতেই হামলা করা হয়েছে। বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মীরাই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।








হাতে ব্যাট, রড নিয়ে জেএনইউ-তে হামলা চালানোর অভিযোগ এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। পড়ুয়া সহ একাধিক অধ্যাপকও আক্রান্ত হয়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্কৃয়তারও অভিযোগ করা হয়েছে বামেদের তরফে। কীভাবে ১৫-২০ জন ‘বহিরাগত’ গার্লস হস্টেলে ঢুকে পড়ল? কী করছিল পুলিশ? প্রশ্ন এসএফআই-এর। যদিও এবিভিপি-র পাল্টা অভিযোগ, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাই তাদের ওপর হামলা চালায়।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.