নয়াদিল্লি: কনিষ্ঠতম সাংসদ হিসেবে নজির গড়েছিলেন। জ্বালাময়ী ভাষণের জন্যও রয়েছে পরিচিতি। কিন্তু এই মুহূর্তে বিতর্কের জন্যই খবরের শিরোনামে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya)।  যাত্রীসমেত বিমানের আপদকালীন দরজা খোলাকে ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে তিনি। বিরোধীদের সমালোচনার মধ্যে কেন্দ্র যদিও গোটা বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু শাসকদলের সাংসদ বলেই তেজস্বীকে বাঁচানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। 


যাত্রীসমেত বিমানের আপদকালীন দরজা খোলাকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা


গোটা বিতর্কে নিয়ে বুধবার মুখ খোলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। তেজস্বীর ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, "বিভ্রান্ত না হওয়াই ভাল। এই সংক্রান্ত তথ্য় পড়ুন ভাল করে। ভুল করেই খুলে গিয়েছিল বিমানের আপদকালীন দরজা। সব কিছু খতিয়ে দেখার পর, তবেই রওনা দেয় বিমানটি। আর এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন উনি।"


গত ১০ ডিসেম্বর বেসরকারি উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোর 6E 7339 বিমানে ছিলেন তেজস্বী (Indigo Flight Emergency Door)। বিমানটি চেন্নাই থেকে তিরুচেরাপল্লী যাচ্ছিল। চেন্নাই এয়ারপোর্ট থেকে উড়ানের ঠিক আগে বিমানসেবিকা যখন সকলকে মাস্ক-সিট বেল্টের গুরুত্ব বোঝাতে ব্যস্ত, সেই সময় তেজস্বী বিমানের আপদকালীন দরজা খুলে দেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। ইন্ডিগোর তরফে যদিও গোড়ায় কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু বিমানের যাত্রীদের মাধ্যমে বিষয়টি চাউর হয়ে যায়। 


আরও পড়ুন: Three States Assembly Elections 2023: সংখ্যায় এগিয়ে অশীতিপররা, কমতি নেই শতায়ু ভোটারের সংখ্যাতেও, ভোটমুখী তিন রাজ্যের হিসেবে চমক


জানা যায়, তেজস্বী আপদকালীন দরজা খুলে ফেলার পর সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাতে যাত্রীদের সকলকে ফের বিমান থেকে নামানো হয়। নতুন করে তল্লাশি নেওয়া হয়। ভাল করে পরখ করা হয় আপদকালীন দরজাটি। সব কিছু দেখে নিশ্চিত হয়ে তবেই ফের বিমানে যাত্রী ওঠানো হয়। তাতে প্রায় দু'ঘণ্টার বেশি দেরি হয়ে যায় বিমান ছাড়তে। 


ইন্ডিগোর বিমানে ঘটনাটি ঘটলেও, আপদকালীন দরজা খোলার নেপথ্যে যে তেজস্বী ছিলেন, তা কোথাও প্রকাশিত হয়নি। বরং বিমান সংস্থার তরফেও তাঁর নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়। জানানো হয়, দুর্ঘটনাবশত আপদকালীন দরজাটি খুলে ফেলেছিলেন এক যাত্রী। ওই যাত্রী ক্ষমতা চেয়ে নেন। তেজসবীই এই কাণ্ড ঘটান বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব এবং তেজস্বী নিজে  নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। শেষ মেশ জ্যোতিরাদিত্য মেনে নিলেন, ওই যাত্রী আসলে তেজ্বস্বীই ছিলেন। তেজস্বীর দাবি, তাঁর হাত লেগে খুলে যায় আপদকালীন দরজাটি।


কংগ্রেসের প্রশ্ন, কী অভিসন্ধি ছিল সাংসদের? বিপর্যয় নামলে তার জন্য কী ব্যবস্থা ছিল?


যদি কংগ্রেসের প্রশ্ন, কী অভিসন্ধি ছিল সাংসদের? বিপর্যয় নামলে তার জন্য কী ব্যবস্থা ছিল? আপদকালীন দরজা খোলার পরও কেন শুধু ক্ষমা চাওয়াতে তাঁকে বিমানে নিজের আসনে বসে দেওয়া হল, প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। বিমান মাঝ আকাশে থাকলে অঘটনের দায় কার উপর চাপাতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উঠছে প্রশ্ন। শাসকদলের নেতা বলেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এমন অভিযোগও তুলছেন অনেকে।