নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে ব্যান করা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগ। গত ১০ মে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তবর্তী সরকারের একটি বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারত-পাক উত্তেজনার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে বাংলাদেশের কথাও। কারণ শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা হাসিনার সরকারের সময়কালে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কারও অজানা নয়। কিন্তু আচমকা হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেদেশে টানা অশান্তি চলেছে। সেই সঙ্গে চলেছে হিন্দু নিধন। জঙ্গি ইস্যু নিয়েও আশঙ্কা বেড়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিন্ন করতে মরিয়া সেদেশের এতদিন ধরে চলে আসা বিরোধী দল। স্বাভাবিকভাবেই এদিন বিদেশমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে উঠে এল উদ্বেগ। ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী ? স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। 

আরও পড়ুন, কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের জায়গা নেই, ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কি কথা হয়েছে মোদির ? বড় বার্তা বিদেশমন্ত্রকের

এদিন রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আওয়ামী লিগের উপর যে ব্যান পড়েছে, তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। একে তো গণতান্ত্রিক দেশে একটা নিয়ম রয়েছে। সেই সমস্ত প্রক্রিয়াই এখানে লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেখানে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক গতিবিধি কমে গিয়েছে। এটা নিয়ে চিন্তিত ভারত। আমাদের এটাই আহ্বান যে, বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব একটা নিরপেক্ষ, সর্বশ্রেষ্ঠ ভোট করা হোক।'

সম্প্রতি ওয়াকফ অশান্তি এবং কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আগে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিল বাংলাদেশে। কারণ সেসময় টানা  বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপট চরমে ওঠে। যখন যা ইচ্ছা তাই করে তারা। হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে। আবার মাজারও ভাঙে!কখনও বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল টিমের খেলা বন্ধ করে । কখনও অভিনেত্রীদের শো রুম উদ্বোধন জোর করে বন্ধ করে দেয় এই মৌলবাদীরা রীতিমতো সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে, ক্রেন-বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ভাঙে।  আগুন দেয়। লুঠ করে। শেখ হাসিনার বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। বাংলাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়িতে হামলা করে । প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রাক্তন সেনাপ্রধান কারও বাড়িকে রেয়াত করছে না! আর সব দেখেও শান্তির দূত মহম্মদ ইউনূস চুপ ছিলেন! যাঁরা তাণ্ডব করছে তাদের ধরার পরিবর্তে যাদের ওপর হামলা হচ্ছে তাদেরকেই ধরার জন্য় অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করে তাঁর সরকার!