অযোধ্যা : রাম মন্দিরের উদ্বোধন আসন্ন। আগামী ২২ জানুয়ারি সিংহাসনে ফেরানো হবে রামলালাকে। অযোধ্যা বাবরি মসজিদ মামলার পর একটি মঞ্চে শ্রীরামের শিশু রূপের পুজো হচ্ছিল। এবার রাম মন্দিরে রাম লালার নতুন মূর্তি স্থাপন করা হবে। বলা হচ্ছে যে, নতুন এই মূর্তিটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য মূর্তি। রাম মন্দিরে নতুন মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে, কিন্তু কী হবে পুরনো মূর্তির কী হবে ?


খবর অনুযায়ী, রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে নতুন মূর্তির সঙ্গেই পুরনো মূর্তিও স্থাপন করা হবে। নতুন মূর্তিটির নাম হবে- অচল মূর্তি। আর পুরনো প্রতিমাকে বলা হবে- উৎসবমূর্তি। শ্রী রাম সম্পর্কিত সমস্ত উৎসবে শোভাযাত্রায় শুধুমাত্র উৎসবমূর্তি রাখা হবে। নতুন মূর্তি সর্বদা ভক্তদের গর্ভগৃহে দেখার জন্য থাকবে।


রাম লালার পুরনো মূর্তির উচ্চতা খুব ছোট। যে কারণে মূর্তির দর্শন করতে পারেন না ভক্তরা। রামের শিশু রূপের নতুন মূর্তি হবে ৫১ ইঞ্চি লম্বা। ভক্তরা ৩৫ ফুট দূর থেকে প্রতিমা দেখতে পারবেন। পাঁচ বছরের ছেলের আদলে তৈরি হবে এই মূর্তি।


আবেগের সঙ্গে আধুনিকতম প্রযুক্তির ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাম মন্দির (Ram Mandir)। উদ্যোক্তাদের দাবি, ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে ভূমিকম্প (Earthquake) - কোনও কিছুই টলাতে পারবে না এই মন্দিরের ভিত। মন্দিরকে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে অযোধ্যা (Ayodhya) নগরী। আগামী ২২ জানুয়ারি, সিংহাসনেই ফেরানো হবে রামলালাকে। ফৈজাবাদ, যা এখন অযোধ্যা অত্যন্ত পুরনো শহর। এখানকার প্রতিটি রাস্তা, গলিঘুঁজি, বাড়িঘর থেকে সরযূর ঘাট - প্রাচীন এই সবকিছুর মধ্যেই অন্তর্নিহিত ইতিহাস আর আবেগের বারুদ। অযোধ্যায় নতুন ঘাট থেকে লতা মঙ্গেশকর চক হয়ে নবনির্মিত রামমন্দির পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে, সমস্ত কিছুর ওপরেই পড়ছে আধুনিকতার প্রলেপ।


অনেকেই বলছেন, রামমন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের সঙ্গে সঙ্গে একটি অধ্যায়ের বৃত্তপূরণ হতে চলেছে। যার আগাগোড়া বিতর্ক আর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ভরা। প্রায় ৫০০ বছর আগে, ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে রাজপুতদের যুদ্ধে হারানোর পরে, মুঘল সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার মীর বারকির উদ্যোগে নির্মিত হয় বাবরি মসজিদ। আর ৫ শতাব্দী পরে, সেই জায়গাতেই মাথা তুলেছে সুদৃশ্য রামমন্দির। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পর ৪ বছর পার হয়েছে। আর কয়েক দিন বাদেই সুবিশাল মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন অযোধ্যায় লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে। শহরের কোনও হোটেল আর খালি নেই। বুক করা হয়েছে প্রায় দু’মাস আগে থেকে।