কলকাতা: অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দির উদ্বোধনে এক মাসও বাকি নেই। এখন দ্রুতগতিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের (Ramlala Pran Pratishtha) জন্য পাঠানো হচ্ছে আমন্ত্রণপত্রও। এরই মধ্যে ঠিক কীভাবে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দির (Ram Mandir), তা নিয়ে জানানো হয়েছে শ্রী রাম মন্দির ট্রাস্টে (Ram Mandir Opening)র তরফে।
আধুনিক পয়ঃপ্রণালী প্ল্যান্ট (Sewage Treatment Plant) থেকে জল পরিশোধন প্ল্যান্ট (Water Treatment Plant) সবই থাকছে এখানে। বয়স্ক নাগরিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিক সবার চলাচলের সুবিধার কথা মাথায় রাখা হচ্ছে এখানে, জানিয়েছে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গেই থাকছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিশেষ ব্যবস্থাও। অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) ৭০ একর জমির ৭০ ভাগই গাছ দিয়ে ঢাকা থাকবে বলে জানিয়েছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। মন্দির চত্বরে থাকছে নিজস্ব অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা। প্রয়োজনে মাটির তলায় থাকা রিজার্ভার থেকে জল তুলতে পারবে এটি। গোটা মন্দিরে মোট ৩৯২টি পিলার বা স্তম্ভ থাকবে। শ্রী রাম মন্দিরে থাকছে লিফট। ঢোকার মুখে থাকছে ২টো ব়্যাম্প। বৃদ্ধ ও বিশেষভাবে সক্ম ব্যক্তিদের যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবেই এটা করা হয়েছে। রামায়ণে জটায়ুর ভূমিকা সর্বজনবিদিত। চম্পত রাই জানিয়েছেন, কুবের টিলায় একটি জটায়ু মূর্তি বসানো হয়েছে।
আগামী ২২ জানুয়ারি শ্রী রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha Ceremony) করা হবে। সেই উপলক্ষে বিপুল আয়োজন করা হয়েছে। ট্রাস্টের তরফে থেকে আগেই জানানো হয়েছিল মকর সংক্রান্তির পরে ১৬ জানুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তিনজন শিল্পীর হাতে তিনটি রাম লালার মূর্তি তৈরি হচ্ছে। যে মূর্তি সবচেয়ে ভাল হবে সেটাই বেছে নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের পরে ৪৮ দিন ধরে মন্ডল পুজো চলবে।
আসছেন কারা?
প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে বহু ভিভিআইপি অতিথিরা আসছেন। আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আরও বহু লোক এখানে এসে পৌঁছবেন। সেই কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে একটি অস্থায়ী শহর (Tent City)। রান্নাঘর, জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা হাসপাতাল সব থাকছে। সারা দেশের বেশ কিছু চিকিৎসক এই হাসপাতালে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিষেবা দেবেন। সম্প্রতি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র -এর তরফে X হ্যান্ডেলে এমনটাই জানানো হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে অন্তত ৪০০০ সাধু-সন্ত আসছেন। নানা কোণায় লঙ্গর, কমিউনিটি কিচেন তৈরি হয়েছে। খাবার তৈরি ও বিলির ব্যবস্থাও থাকছে। সব শঙ্করাচার্য, মহামন্ডলেশ্বর থেকে শুরু করে হিন্দু, শিখ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রথমসারির আধ্যাত্মিক গুরুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বনামধন্য ব্য়ক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজনীতি থেকে ক্রীড়া, সিনেমা থেকে সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রের স্বনামধন্যদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার মণিপুর থেকে মুম্বই! 'ভারত ন্যায় যাত্রা'য় বাংলায় পা রাহুলের