নিউ দিল্লি: রামমন্দির উদ্বোধনে নয়া উদ্যোগ বিজেপি-র। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেন যাতে দেশবাসী, তার জন্য অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বুথ স্তরেও। দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে অনুষ্ঠানের অংশ করে নিতেই এমন উদ্যোগ। (Ayodhya Ram Temple)


বিজেপি-র তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হলে, অযোধ্যা না এসেও, ‘রামলালা’র প্রাণ প্রতিষ্ঠা সচক্ষে দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। তার জন্য বুথ স্তরের নেতাদের বড় স্ক্রিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন একাধিক সমাজসেবামূলক কর্মসূচির আয়োজনও করা হচ্ছে। এর আওতায় কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে। পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে সাধারণের জন্য।  দুঃস্থদের মধ্যেও খাবার এবং ফল বিতরণ করা হবে। (Ayodhya Inauguration)


রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর আগমন ঘিরে বাড়তি তৎপরতা শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই, সেই তালিকায় রয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি থেকে অভিনেতা অক্ষয় কুমার, অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্তও। অযোধ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।  


আরও পড়ুন: Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দিরে স্থাপিত হবে 'উৎসব' ও 'স্থাবর' মূর্তি, কী এগুলির মাহাত্ম্য ?


২২ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলেও, বৈদিক মতে ‘রামলালা’র প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকেই, মূল অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে। বারাণসী  থেকে তার জন্য পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত অযোধ্যা যাচ্ছেন। তিনিই ২২ জানুয়ারির মূল অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করবেন। রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে আগামী ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি, এই নয় দিন অযোধ্যায় ‘অমৃত মহোৎসব’ হিসেবে পালিত হবে।


রামমন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ১০০৮ ‘হান্ডি মহাযজ্ঞে’রও ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যা থেকে পুণ্যার্থীদের প্রসাদ দেওয়া হবে। পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় তাঁবু খাটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার মানুষের জন্য সবরকম আয়োজন হচ্ছে। অনুষ্ঠানের দিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটতে পারে অযোধ্যায়, তার জন্য এখন থেকেই নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হচ্ছে। কোনও রকম বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই যাতে সকলে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেন, চেষ্টায় খামতি রাখা হচ্ছে না কোনও।