অযোধ্যা : অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরে প্রভু রাম লালার মূর্তি নিয়ে ভোটাভুটি আজ। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মিটিংয়ে হবে ভোট। এই ট্রাস্টকে মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার দায়ভার দেওয়া হয়েছে। একাধিক ভাস্করের নকশা করা পৃথক তিনটি মূর্তি ভোটাভুটির সময় হাজির করা হবে। যে মূর্তিটি সবথেকে বেশি ভোট পাবে সেটিই মন্দির গর্ভগৃহে স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।


ট্রাস্টের সেক্রেটারি চম্পত রাই জানিয়েছেন, তিনটি ডিজাইনের মধ্যে থেকে ৫১ ইঞ্চির একটি মূর্তি বেছে নেওয়া হবে। যেটা হবে রাম লালার ৫ বছর রূপের। এর মধ্যে যে মূর্তিটিতে ঐশ্বরিক ও শিশুসুলভ ব্যাপার থাকবে সেটা বেছে নেওয়া হবে।


এদিকে, অভিষেক অনুষ্ঠান এগিয়ে আসায়, শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র রাম জন্মভূমি পথ ও মন্দির চত্বরের নির্মাণকাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি আশ্বাস দেন, তাড়াহুড়ো করার পরিবর্তে কাজের গুণগত মানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে নির্মাণকাজে। পুরো প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে তিনি দফার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


অযোধ্য়াজুড়ে এখন প্রায় রাজসূয় যজ্ঞ। ঐতিহাসিক মন্দির ঘিরে তুমুল ব্য়স্ততা। শনিবার সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেজে উঠছে স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট। বদলে যাচ্ছে অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম। তার নতুন নাম রাখা হয়েছে অযোধ্য়া ধাম জংশন। রামের মুকুটের আদলে সেজে উঠছে অযোধ্য়া ধাম জংশন। আর রামমন্দিরের রূপে সেজে উঠছে নতুন বিমানবন্দর। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্য়া। শহর জড়ে বসানো হচ্ছে প্রচুর সিসিটিভি। রাস্তায় বসানো হচ্ছে আন্ডার ভেহিক্য়াল স্ক্য়ানার।


এদিকে রাম লালার জন্য় প্রচুর উপহার আসছে নেপাল থেকে। ৩ কুইন্টাল চাল আসছে ছত্তীসগঢ় থেকে। পটনার মহাবীর ট্রাস্ট থেকে পাঠানো হয়েছে সোনার ধনুক। রামমন্দিরে এখন শুধুই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। 


প্রত্য়েকটা বাড়ি সেজে উঠেছে একইরকম রঙে। প্রত্য়েকটা লাইটস্ট্য়ান্ড ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে। অযোধ্য়া জুড়ে এখন শুধুই রামায়ণের থিম। পুরাণে বলা হয়, রাম লালার মাতুলালয় ছত্তীসগঢ়ের চাঁদখুড়িতে। আর নেপালের জনকপুরে জন্ম হয় সীতার। সূত্রের খবর, অযোধ্য়ায় রাম-লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে এই দুই জায়গা থেকে আসছে প্রচুর উপহার। যেমন- প্রায় তিন কুইন্টাল চাল আসছে ছত্তীসগঢ় থেকে। প্রচুর ফল, পোশাক আসছে জনকপুর থেকে। এছাড়াও নেপাল থেকে আসছে বিভিন্ন ধরনের গয়না, বাসন এবং মিষ্টি। মন্দিরের জন্য় উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে ২ হাজার ১০০ কেজি অষ্টধাতু। ভডোদরা থেকে ১০৮ ফুট লম্বা ধুপ, পটনার মহাবীর ট্রাস্ট থেকে পাঠানো হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা মূল্য়ের সোনার ধনুক। অযোধ্য়ার রেলস্টেশন, এয়ারপোর্টের পাশাপাশি, হনুমানগড়িতেও এখন তুমুল ব্য়স্ততা।