আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও শিক্ষা নিয়ে বরাবরই বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। এবার  কেন্দ্রীয় সরকার এখন স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে আয়ুর্বেদকে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব এ কথা ঘোষণা করেছেন।  এনসিইআরটি এবং ইউজিসি এই বিষয়ে একটি নতুন সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে। মন্ত্রকের তরফে  জানানো হয়েছে যে এই পদক্ষেপের লক্ষ্যই হল,নতুন প্রজন্মকে ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ বিষয়ে উৎসাহিত করা ।  

Continues below advertisement

আয়ুষ মন্ত্রণালয়  অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলেই পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছে।  অদূর ভবিষ্যতে স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আয়ুর্বেদ পড়ানো হতে পারে। আয়ুষ মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব নিজেই এটি রিটুইট করেন।  তিনি লেখেন, আয়ুর্বেদ  কেবল একটি বিষয় নয়, বরং জীবনধারা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের পরম্পরা। 

সূত্রের খবর, এনসিইআরটি এবং ইউজিসি যৌথভাবে পাঠ্যক্রমটি তৈরি করছে। স্কুল এবং উচ্চশিক্ষায় আয়ুর্বেদকে সহজ এবং ব্যবহারিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠ্যক্রমের মডিউল নিয়ে আলোচনা চলছে। গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই  এই বিষয়টি পড়াতে শুরু করেছে। 

Continues below advertisement

নতুন সিলেবাস কবে পাওয়া যাবে ?       

জানা গিয়েছে যে আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২৬-২৭) থেকে পাঠ্যপুস্তকে একটি নতুন আয়ুর্বেদ সিলেবাস যুক্ত করা হতে পারে। তার মানে, অদূর ভবিষ্যতেই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতের পাশাপাশি আয়ুর্বেদ, ঘরোয়া প্রতিকার এবং প্রাচীন স্বাস্থ্য জ্ঞান শেখানো হবে। তবে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

আয়ুর্বেদের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে

সরকার আয়ুর্বেদের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করছে। সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সায়েন্সেস (CCRAS) এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় উচ্চমানের ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হচ্ছে। এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সহযোগিতায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মান নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর ফলে  প্রমাণ হতে পারে আয়ুর্বেদ কেবল ঐতিহ্যের অংশই নয় বরং বৈজ্ঞানিকভাবেও নির্ভরযোগ্য।                               

অ্যালোপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদের সংমিশ্রণ                 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদব স্পষ্ট করে বলেছেন যে আয়ুর্বেদ এবং অ্যালোপ্যাথি প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বরং তারা পরিপূরক ব্যবস্থা। জাতীয় আয়ুষ মিশন এবং আয়ুষ গ্রিডের মাধ্যমে, সরকার সাধারণ জনগণকে উন্নত এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য উভয় ব্যবস্থার সুবিধাগুলিকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।