Ayushman Bharat Scheme: গত শুক্রবার সংসদের বৈঠকে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনার অধীনে ৯.৮৪ কোটিরও বেশি হাসপাতালে ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সার্বজনীন সামগ্রিক স্বাস্থ্য কভারেজের উপরে নজর দিয়ে এই প্রকল্পটি ভারতের নিম্নস্তরের ৪০ শতাংশ মানুষকে সুবিধে দিয়েছে। ৫৫ কোটি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস হসপিটালাইজেশনের সুবিধে দিয়ে থাকে এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প।

ইতিমধ্যেই ৪১ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে দেশে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ৫.৩৩ কোটিতে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশায় সবথেকে বেশি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আর সবথেকে কম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে লাক্ষাদ্বীপে, ৩৬০০০ কার্ড ইস্যু হয়েছে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এই প্রকল্পটি কাজ করে ৩১ হাজার ৪৬৬টি হাসপাতালের মাধ্যমে। এর মধ্যে ১৪ হাজারটিরও বেশি বেসরকারি সুবিধে রয়েছে, যা ট্রাস্ট, বিমা বা হাইব্রিড মডেলের অধীনে রাজ্য নির্দিষ্ট ফ্লেক্সিবিলিটি দিয়ে থাকে।

তবে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে এই স্কিম নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠান আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ব্যাপারে অভিযোগ করেছে যে এই প্রকল্পের অধীনে অনেক দেরি করে টাকা দেওয়া হয়, এমনকী অনেক কম অঙ্কের টাকা শোধ করা হয়েছে, এবং টাকা দাবি করার পদ্ধতিও অনেক জটিল যা হাসপাতালের আর্থিক স্থিতিশীলতার পক্ষে ঝুঁকির কারণ।

গুজরাতে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকার দাবি এখনও পরিশোধ করা হয়নি। এই দাবির মাত্র ৫ শতাংশ ১৫ দিনের মধ্যে সেটলমেন্ট হয়েছে। জানানো হয়েছে অজয় বাসুদেব বোসের দায়ের করা একটি আরটিআই অনুসারে কেরালায় ৪০০ কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে, আর বাকি সারা দেশে এখনও এই প্রকল্পের অধীনে ১.২১ লক্ষ কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে। জানা গিয়েছে ৬৪ লক্ষ ক্লেম এখনও মেলেনি।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আরও উল্লেখ করেছে যে প্যাকেজের হার খুবই কম এবং চিকিৎসার খরচও সেই প্যাকেজে সম্পূর্ণ বহন করা হয় না। বিশেষত বেসরকারি উচ্চতর হাসপাতালে জটিল চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচ দেওয়া হয় খুবই কম। আইএমএ-র জাতীয় সভাপতি ড. দিলীপ ভানুশালী সংবাদমাধ্যমকে জানান যে এই প্রকল্পের অধীনে রেট, প্যাকেজ নির্ধারণ করার সময় আইএমএ-কে আমন্ত্রণ জানানো উচিত, হাসপাতালগুলিকে সময়মত অর্থপ্রদান, দাবি মেটানো যাতে হয় তা নিশ্চিত করা উচিত।’ তাছাড়া একই রেট বা প্যাকেজ উচ্চতর হাসপাতালগুলিকে উৎসাহিত করে না, ১ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল থাকলেও তাদের মধ্যে মাত্র ৬৭টি হাসপাতালই এই প্রকল্পে অংশ নেয় কারণ এই প্রকল্পের আর্থিক ঝুঁকি। এছাড়া প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রকল্পের অধীনে টাকার দাবি প্রত্যাখ্যান হাসপাতালের আর্থিক অবস্থাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে।