কলকাতা: তৃণমূলে ফিরবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়? জল্পনা বাড়িয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আড়াই মাসের মধ্যেই দীপাবলির আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈশাখী। শনিবার বেলা একটা পাঁচ। নাকতলায় তৃণমূলের মহাসচিবের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল বৈশাখীর গাড়ি। হাতে উপহার। থাকলেন ২ ঘণ্টারও বেশি সময়। সূত্রের খবর, পার্থ-বৈশাখীর কথা হয়েছে প্রায় দেড়ঘণ্টার কাছাকাছি। তৃণমূলের মহাসচিবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বৈশাখীর মন্তব্য উস্কে দিয়েছে জল্পনা। তিনি বলেছেন, ‘আমি রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। আমার দুঃখ, যন্ত্রণা , উপলব্ধি পার্থদার সঙ্গে শেয়ার করেছি। উনি খুব আন্তরিক। আগামীদিন বলে দেবে কোন পথে কী হবে।’ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শোভন ও বৈশাখী কার্যত নিষ্ক্রিয়।  উল্টে বৈশাখী দলের কাছে নিষ্কৃতি চেয়েছেন। গরহাজির থেকেছেন কলকাতায় অমিত শাহের সভায়। মাঝমধ্যেই নিজের দল বিজেপি সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বৈশাখী। এদিন তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে এসে সেই অবস্থান আরেকবার স্পষ্ট করেছেন শোভনের বান্ধবী। তাঁর মন্তব্য, ‘আমি রাজনীতি থেকে এখন অনেক দূরে। শোভনদাকেও অ্যাক্টিভ দেখছি না।  রাজনীতিতে ভবিষ্যত বলবে কী হয়।’ অক্টোবরে পার্থর জন্মদিন।  রয়েছে বিজয়াও। সূত্রের খবর, বৈশাখী পার্থর  বাড়িতে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করেছেন। আলোচনায় শোভনের প্রসঙ্গ এসেছে অনিবার্যভাবেই। পার্থর মন্তব্য, ‘শোভন সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। চলে গেলেই যে সুস্থতা কামনা করব না, এমন সংস্কৃতিতে আমরা বিশ্বাসী নয়। তবে খেলোয়াড় নই, তৃণমূলের মহাসচিব। সুতরাং রাজনীতির কথা হবে না এটা হয়?’ তাহলে কি শোভন- বৈশাখী তৃণমূলের কাছাকাছি আসছেন? দীর্ঘদিন বিজেপির কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের।  তার উপর এদিন পার্থ-বৈশাখী সাক্ষাৎ। রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তো বাড়বেই।