নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করার ছক কষেছিলেন। তাঁদেরই মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করায় ১৫ জন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিল আদালত। আজ, মঙ্গলবার ঢাকার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এই রায় দিয়েছে। বিচারপতি আবু জাফর মো. কামারুজ্জামান রায় দিতে বলে, দেশ ওই ১৪ জন অভিযুক্তের মৃ্ত্যুদণ্ড চেয়েছিল প্রশাসন। সেই আর্জিকে স্বীকৃতি দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ঘটনা ২০০০ সালের ২০ জুলাই মাসের। বাংলাদেশের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর হামলার চেষ্টা করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। আর সেই সভাস্থলের পাশেই রাখা ছিল ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা। শেখ লুৎপর রহমান কলেজ চত্বরে এই বোমাটি পোঁতা হয়েছিল। সেই বোমা উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, এর ঠিক তিন দিন পর উদ্ধার হয় আরও একটি বোমা। ২৩ জুলাই ৪০ কেজির আরেকটি বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটবার পরই কোটালীপাড়া থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করার ছক কষার ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় একজনকে। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনকে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। চলতি বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি এই ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তিপ্রাপ্ত এক আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের তালিকায় আছে আনিসুল ইসলাম,আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, সারোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম খান, মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, ও আমিরুল ইসলামের নাম।
এদিন রায়দানের সময় বিচারপতি বলেন, উদাহরণ তৈরির করার জন্য তাঁদের প্রকাশ্যে গুলি করে শাস্তি দেওয়া উচিত। কিন্তু আইনি বাধায় তা সম্ভব নয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে কোর্ট থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে শাস্তির ট্রায়ালের জন্য।