ঢাকা : ISKCON মন্দিরের সমালোচনা করে সপ্তাহ দু'য়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়। যাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার পর এদিন ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে। তাঁকে আটক করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য তাঁর গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়েছে। আপাতত তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। কোনও এক অজানা জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন এই সন্ন্যাসী। কিন্তু, কীভাবে ও কবে থেকে শিরোনামে এলেন কৃষ্ণদাস প্রভু ?


কীভাবে কবে থেকে শিরোনামে কৃষ্ণদাস প্রভু ?


গত ৫ অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সনাতন ধর্মের ব্যানারে একাধিক সভার আয়োজন করা হয়। সেইসব জমায়েত থেকে, ISKCON- নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে একাধিক হুঁশিয়ারিমূলক বক্তৃতা দেন বলে অভিযোগ। এর আগেও তাঁকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, চট্টগ্রাম শহরের লালদিঘির ময়দান থেকে গত ২৫ অক্টোবর দুপুরের সমাবেশের পর চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে নিয়ে আলোচনা আরও বেড়ে যায়। সেই সভা থেকে ৮ দফা দাবি তোলা হয়।


বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে সেই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকে বাংলাদেশে মন্দিরে হামলার একাধিক অভিযোগ তোলেন চিন্ময় কৃষ্ণদাস। এমনকী মন্দির মন্দিরে লুঠতরাজ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগও তোলা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ রয়েছে।


ISKCON-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি 'চিন্ময় প্রভু' নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের পাশাপাশি, পুণ্ডরীক্ষ ধামের অধ্যক্ষও তিনি।


গত কয়েক মাসে অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠে আসছে লাগাতার, আবার এক এক করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব স্মৃতিচিহ্নও মুছে ফেলার অভিযোগ উঠছে। এই আবহেই এদিন গ্রেফতার করা হয় কৃষ্ণদাস প্রভুকে। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেন, কৃষ্ণদাস প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী একজন হিন্দু নেতা এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ISKCON)-এর সদস্য। 


সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে কাঞ্চন গুপ্তা দাবি করেছেন, "নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করেছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, মুসলিমদের তরফে হিন্দুদের লক্ষ্য করে ঘৃণ্য হামলা চালানো হচ্ছে, এই অভিযোগে হিন্দুদের তরফে একটি বিশাল সভার নেতৃত্ব দেওয়ায় চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় এই নেতাকে ইউনুস সরকারের গোয়েন্দা শাখা নিয়ে গেছে।"