ঢাকা: বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের রাজধানীর মগবাজার এলাকায় একটি ফ্লাইওভারে হামলাকারীদের বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মগবাজার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধের সামনের ফ্লাইওভারের নীচে বিস্ফোরণটি ঘটে, যেখানে অনেকেই প্রায়শই যাতায়াত করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরকটি ফ্লাইওভারের উপর থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছিল এবং মাটিতে বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে নিহত ব্যক্তি গুরুতর আহত হন, যার স্বজনরা 'সিয়াম' নামে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন। কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে সিয়াম একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করতেন এবং বিস্ফোরণের সময় এলাকায় ছিলেন। তার পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি এবং পরে আত্মীয়স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (রমনা বিভাগ) উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। বিস্ফোরক ওই ডিভাইসটি ছুঁড়ে মারার পরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে বোমাটি ফ্লাইওভার থেকে নীচে ছুঁড়ে মারা হয়েছিল। "এর উদ্দেশ্য এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি," তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।
নির্বাচনের প্রচার সেরে রিকশয় ফেরার পথে হামলা হয়েছিল। মোটরবাইকে এসে অতর্কিতে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। এরপর প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, তারপরে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে সিঙ্গাপুর নিয়ে গেলেও হল না শেষরক্ষা। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে হাসিনা বিরোধী ছাত্রনেতা ও 'ইনকিলাব মঞ্চের' আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির। আর তারপরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। অন্যদিকে, নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ফের উঠেছে ডায়রেক্ট অ্যাকশনের স্লোগান। আর এই আবহে সেদেশে খুন হলেন আরও এক হিন্দু যুবক। এর পর সে দেশে উত্তেজনা যেমন ছড়িয়েছে, তেমন পশ্চিমবঙ্গেও দিকে দিকে বিক্ষোভ হচ্ছে।